ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাঁচবিবিতে খড়ের দাম আকাশ ছোঁয়া

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

পাঁচবিবিতে খড়ের দাম আকাশ ছোঁয়া

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গো-খাদ্যের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া, বর্তমান কেজিতে খড় বিক্রি হচ্ছে। বছরে দুইবার ধান কাটার মৌসুমে গ্রামের কৃষকরা ঘরে ধান রাখেন। পাশাপাশি খড় ও যত্ন সহকারে রাখা হয় গরুর খাদ্য হিসেবে। খড় গো-খাদ্য ছাড়াও গ্রামের মহিলা রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।

বর্তমানে দিন দিন খড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধান কাটার পর খড়ের স্তূপ বিক্রি হতো নির্দিষ্ট একটি দামে ধারণার ওপর ভিত্তি করে।

উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় যে কৃষকের বাড়িতে খড়ের গাদা (পালা) আছে সেখানে গরুর মালিকরা কিনতে ভিড় করছেন।

সরেজমিনে বাগজানা, আয়মারসুলপুর, বালিঘাটা, ধরঞ্জি, মোহাম্মদপুর ইউয়িনে বিভিন্ন গ্রাম বেরাখাই, সড়াইল, পাঁচগাছি, বারকান্দি, গোরনা, আটুল ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খড়ের মালিক তোফাজ্জল মিয়া জানান, লাগামবিহীনভাবে খড়ের বাজার বেড়েই চলছে। এখন প্রতি কেজি খড় ১৫ টাকা থেকে ১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মণ ৬০০ টাকা থেকে ৬৪০ টাকা বা আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

খড় ক্রেতা কুতুব আলী জানান, তারা চারজন মিলে একটি খড়ের পালা ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন। এতে প্রতিজনের পাঁচ হাজার টাকা করে ভাগে পড়েছে। যা অতীতের তুলনায় আশ্চর্যের এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা। খড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘাসের দামও হয়েছে অনেক। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে গরু লালন-পালন করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্যের তীব্র সংকট ও দাম বেশি হওয়ায় অনেক খামারি ও কৃষক গরু পালনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, প্রতিবার এ সময় খড়ের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। এবার বিভিন্ন কারণে গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এটা সাময়িক। নতুন ধান ঘরে এলে আবার খড়ের দাম স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।

 

 

 

 

 

 
Electronic Paper