ভাল নেই জবির ক্যাফেটিরিয়ার কর্মচারীরা!
মুজাহিদ বিল্লাহ
🕐 ৫:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
দেড় বছরের বেশি সময় থেকে বন্ধ রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস। সীমিত আকারে সকল বিভাগ-ইন্সটিটিউট খুললেও খুলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটিরিয়া। এতে কর্মহীন হয়ে দুশ্চিন্তা ও অর্থাভাবে দিন পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটিরিয়ার সাথে যুক্ত কর্মচারীরা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় জবির একমাত্র ক্যাফেটিরিয়া। ১৬ মাস পার হয়ে গেলেও খুলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটিরিয়া। হিসাব,রান্না,খাবার পরিবেশনসহ ক্যাফেটিরিয়ার সাথে যুক্ত ছিলেন ২২ জন কর্মচারী। কর্মহীন হয়ে অনেকেই এখন তার পরিবারের কাছে বোঝা। ২-১ জন বিভিন্ন কাজে যোগ দিলেও বেশিরভাগ কর্মহীন হয়ে দুশ্চিন্তা ও অর্থাভাবে দিন পার করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে এ আশায় ঢাকা ফিরেছেন বেশিরভাগ জবি শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেখা মিলে শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রয়েছে শিক্ষার্থীদের টিএসসি। টিএসসিতে রয়েছে খাবারের ১০-১২ টি দোকান। সকাল থেকে এসব দোকানে খাবার খেতে ভীড় করেন শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থবিধি ও সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে খাবার বিক্রি করছেন বেশিরভাগ দোকান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটিরিয়াতে রয়েছে ১৩টি টেবিল। প্রতিটি টেবিলের সাথে ৬টি ও ৪টি করে চেয়ার যুক্ত রয়েছে। ৭০ জন মানুষ স্বাভাবিক সময়ে খেতে পারলেও এখন স্বাস্থবিধি মেনে খেতে পারবেন ৩৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
আনিস নামের একজন শিক্ষার্থী খোলা কাগজকে বলেন, আমাদের মেসে খাবার সমস্যা অনেক বেশি। ক্যাফেটিরিয়া খোলা থাকলে এখানে এসে খেতে পারতাম। টিএসসিতে খাবার ভাল না এবং উপচে পড়া ভীড় থাকে। তাই স্বাস্থবিধি মেনে ক্যাফেটিরিয়া খোলার দাবি জানাচ্ছি।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটিরিয়ার একজন কর্মচারী খোলা কাগজকে বলেন, আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। ইনকাম নেই,অন্য কোন কাজ পাচ্ছিনা। সবই তো চলতাছে স্বাস্থবিধি মেনে ক্যান্টিন খুলে দিলে আমরা খেয়ে-পড়ে বাঁচি। বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটিরিয়ার পরিচালক মাসুদ খোলা কাগজকে বলেন, শুনছি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে যদি আমাদের ক্যান্টিন সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয় তাহলে আমাদের জন্য খুবই উপকার হবে।
ক্যাফেটিরিয়া খোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোলা কাগজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ক্যাফিটিরিয়া খুলবে। তারা আমাদের নিয়মিত কর্মচারী নয় তাই তাদের কর্মচারীদের বিষয়টি তারা দেখবে।