ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাছ হাতে নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
🕐 ৫:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

মাছ হাতে নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

শরীয়তপুর আদালত সংলগ্ন শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশের ফুটপাতে অবৈধভাবে সন্ধ্যার পর অসাধু কিছু ব্যবসায়ী মাছ বিক্রি করে। এতে ময়লা জমে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই সন্ধ্যার পর ফুটপাতে অবৈধভাবে মাছ বিক্রি বন্ধের দাবিতে মাছ হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে শরীয়তপুর পালং বাজার মাছ ব্যবসায়ীরা।

আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শরীয়তপুর পালং মাছ বাজারে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মাছ হাতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

এ সময় শরীয়তপুর পালং বাজার মাছ ব্যবসায়ী কমিটির সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক শাকিল ব্যাপারী, মাছ ব্যবসায়ী সফিউদ্দিন হাওলাদার, সেলিম ব্যাপারী, নাজমুল হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পালং বাজার মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, তারা পালং বাজারে দীর্ঘবছর ধরে বৈধভাবে মাছের ব্যবসা করে জীবকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে শরীয়তপুর আদালত সংলগ্ন শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশের ফুটপাতে সন্ধ্যার পর ৮/১০জন ব্যক্তি অবৈধভাবে মাছ বিক্রি করছে। ফুটপাতে মাছ বিক্রির কারণে মাছের ময়লায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। তাছাড়া ফুটপাতে মাছ বিক্রির কারণে সাধারণ মানুষের সমাগম হচ্ছে। যার কারণে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

এ ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট শরীয়তপুর পালং বাজারের ৪৩জন মাছ ব্যবসায়ীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া হয়। পরে ২৫ আগস্ট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আদালত সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ মাছ বিক্রি বন্ধ করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর আবার শুরু হয় অবৈধভাবে মাছ ব্যবসা। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

শরীয়তপুর পালং বাজার মাছ ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাকিল ব্যাপারী বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে অবৈধভাবে আদালত সংলগ্ন সড়কের দুইপাশের ফুটপাতে মাছ বিক্রি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কারণে আমাদের বাজারে ক্রেতা কমে গেছে। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করার পরও তারা চালিয়ে যাচ্ছে মাছ ব্যবসা। আমাদের দাবী ওইখানের মাছ বিক্রি বন্ধ হোক।

মাছ ব্যবসায়ী সফিউদ্দিন হাওলাদার, আব্দুর রাজ্জাক, সেলিম ব্যাপারী, নাজমুল হোসেন বলেন, ওই ফুটপাতে অবৈধভাবে মাছ বিক্রি করায় আমাদের বাজারে ক্রেতা কমে গেছে। পাশাপাশি তারা মানুষকে ঠকাচ্ছে, কারণ পদ্মা নদীর মাছ বলে বিক্রি করছে। আসলে পদ্মা নদীর মাছ নয়।

ওই ফুটপাতে অবৈধভাবে মাছ বিক্রি বন্ধ করা হোক। তানাহলে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আদালত সংলগ্ন ফুটপাতের মাছ ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমরা আদালত সংলগ্ন সড়কের পাশের ফুটপাতে মাছ বিক্রি করি। গতকাল মঙ্গলবারও বিক্রি করেছি, আজও করবো। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিক্রি বন্ধ হলেও, আবার পেটের টানে এখনও মাছ বিক্রি করি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই বলেন, ওইখানে মাছ বিক্রি বন্ধ করা হয়েছিল। এখন বিক্রি হয় কিনা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 
Electronic Paper