খুলনায় বাল্যবিবাহের জন্য তিনটি পক্ষকে দায়ী করলেন বক্তারা
খুলনা ব্যুরো
🕐 ৭:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
সমাজে বাল্যবিবাহের পিছনে প্রথমত দায়ী অসচেতন অভিভাবকরা। এরপর নিকাজ রেজিস্ট্রার (কাজী) এবং নোটারী পাবলিকের আইনজীবী। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টা করলে অসাধু কাজী এবং নোটারী পাবলিকের আইনজীবীরা তাদের সহযোগিতা করে থাকেন। ফলে সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ কারণে সমাজের সব পক্ষকে বাল্যবিবাহকে ‘না’ বলে এই সামাজিক ব্যধি প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুলনায় ‘বাল্যবিবাহের কারণ চিহ্নিত ও প্রতিকারে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশালের সহযোগিতায় খুলনা জেলা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ফোরাম সদস্য ও সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, করোনাকালে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে অভিভাবকরা সন্তানদের অন্ধকার ভবিষ্যতে ঠেলে দিচ্ছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে না পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সামাজিক ব্যধি দূরীকরণে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, খুলনা মেট্রোপলিন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহম্মদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসনা হেনা।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনাল খুলনার রিজিওনাল ম্যানেজার আমিনা সুলতানা, স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা। বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফোরাম সদস্য অসীম আনন্দ দাস এবং খুলনা জেলা মহিলা দলেল সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ছন্দা।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন নারী নেত্রী ও নগর মহিলা দলের সভাপতি রেহেনা ঈসা, আওয়ামী লীগ নেত্রী জেসমিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট পপি ব্যানার্জী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার অজুহাতে সমাজে বাল্যবিবাহের ঘটনা বাড়ছে। অসচেতন অভিভাবকরা বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে অপ্রাপ্ত কন্যা শিশুকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এ অবস্থা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, আইনজীবী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।