মুমিন পুরুষ এবং মুমিনা নারীরা একে অপরের বন্ধু
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
বন্ধুত্ব মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কখনো কখনো এই বন্ধুত্ব হতে পারে মানুষের সফলতার সোপান, আবার কখনো কখনো বন্ধু নির্বাচনে ভুল করার কারণে এই বন্ধুত্বই হতে পারে চরম ব্যর্থতার কারণ। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় কতক লোক আছে, যারা কল্যাণের চাবিকাঠি এবং অকল্যাণের দ্বার রুদ্ধকারী। পক্ষান্তরে এমন কতক লোকও আছে যারা অকল্যাণের দ্বার উন্মোচনকারী এবং কল্যাণের পথ রুদ্ধকারী। সেই লোকের জন্য সুসংবাদ, যার দুই হাতে আল্লাহ কল্যাণের চাবি রেখেছেন এবং সেই লোকের জন্য ধ্বংস, যার দুই হাতে আল্লাহ অকল্যাণের চাবি রেখেছেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৩৭)
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জালিম ব্যক্তি সেদিন নিজের দুহাত কামড়াতে কামড়াতে বলবে, হায়, আমি যদি রাসুলের সঙ্গে সৎপথ অবলম্বন করতাম। হায়, দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম! আমাকে তো সে বিভ্রান্ত করেছিল আমার কাছে উপদেশ পৌঁছার পর। আর শয়তান তো মানুষের জন্য মহাপ্রতারক।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২৭-২৯)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর রীতিনীতির অনুসারী হয়। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন লক্ষ করে, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৩৩)
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর মুমিন পুরুষ এবং মুমিনা নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠিত করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন-যাপন করে। তাদের ওপর আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী সুকৌশলী।’ (সুরা : আত তওবা, আয়াত : ৭১)