ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১

দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার খালগোরা বাজার সংলগ্ন দারছিরা নদীতে ব্রিজ না থাকায় লক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ খেয়া পারাপার করছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, তাদের ইউনিয়নে হাসপাতাল-ক্লিনিক এমনকি কোনো এমবিবিএস ডাক্তার নেই। গ্রামে মধ্যরাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে গর্ভবতীদের নিয়ে খেয়া পারাপারে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তর মোহনা আগুনমূখা নদীর প্রশাখা দারছিরা নদী। দারছিরা নদীর একাংশ পলি মাটিতে ভরে সৃষ্টি হয়েছে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন যেখানে প্রায় এক লক্ষ মানুষের বসবাস। এই বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ হয় উপজেলা সদরকে কেন্দ্র করে। প্রতিদিন বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মানুষ ছোট খেয়া নৌকার মাধ্যমে নদী পার হয়ে কর্মস্থলে যাতায়াত করে। এছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলার সাথে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন ও কলাপাড়া উপজেলার মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ওই দারছিরা নদী।

অপরদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার অতিক্রম করে খালগোড়া বন্দরে রয়েছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্যাংক-বীমা এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। খালগোড়া বাজারের পাশে এই দারছিরা নদীর অবস্থান। এই বন্দরের বাসিন্দাদের অন্যাত্র যেতে হয় খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হয়ে। বর্ষা মৌশুমে ছোট ছোট খেয়ায় নদী পাড় হতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘ব্রিজ না থাকায় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন ও খালগোরা বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকার সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর দারছিরা নদীতে একটি ব্রিজ তৈরি করার প্রস্তাব করেছি।

বড়বাইশদিয়া এলাকার বেলাল বলেন, জোয়ারের সময় তুফান আর ভাটার সময় হাঁটু পরিমাণ পানি কাঁদার মধ্যে উপজেলা সদরে যেতে হয় আমাদের। বিগত দিনে খেয়া পাড় হতে গিয়ে অন্তত শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

 

 
Electronic Paper