ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডিম নিয়ে সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৮

‘রাঁধতে সোজা, খেতে ভালো। ডিম ছাড়া আর কি বলো?’ তা ছাড়া এক ডিম দিয়ে তৈরি হতে পারে হাজার পদের খাবার। শুধু কি তাই, ডিমকে বলা হয়ে থাকে সবচেয়ে সস্তা প্রোটিন। স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী প্রজন্ম গঠনে ডিমের কোনো বিকল্প নেই। এমন পুষ্টিকর আর সহজলভ্য খাবারটি নিয়ে মাঝে মাঝেই সিন্ডিকেট তৈরি করেন দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যেহেতু দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের যথাযথ পুষ্টির জন্য অনেকখানি নির্ভরশীল এই ডিমের ওপর তাই এ সুযোগটি ব্যবহার করেন সেসব ব্যবসায়ীরা।

দেখা গেছে, হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে ওঠে ডিমের বাজার। এতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর ভোক্তারা। এ খাতটির নিয়ন্ত্রণ দেশের গুটিকয়েক বড় প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকায় তাদের ওপরই সবকিছু নির্ভর করে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় চাইলেই তারা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে পারে।
বর্তমান বাজারে প্রতি হালি ডিমের খুচরা মূল্য ৪০-৪২ টাকা। কিছুদিন আগেও যা ছিল ৩০-৩২। অর্থাৎ এক হালি ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। অথচ বাজারে হাঁস- মুরগির খাবারের দাম খুব একটা বাড়েনি। এক বস্তা খাবারে ১০ টাকা দাম বাড়ার বিপরীতে প্রতি হালি ডিমে দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ টাকা!  
দেশের তরুণদের একটি বিশাল অংশ পোলট্রি খাত নিয়ে উদ্যোগী হচ্ছে। সফলও হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু মাঝে মাঝে সিন্ডিকেটের এমন দৌরাত্ম্যে তাদের মাথায় বজ্র পড়ার মতো অবস্থা হয়। অনেকে এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন এসব কারণে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাই জোর দিচ্ছেন বাজার তদারকির ব্যাপারে। তারা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি একটি কমিটি করে দেয়, যাদের কাজ হবে নিয়মিত বিরতিতে বাজারের খোঁজখবর করা তাহলে এমন সিন্ডিকেট দাঁড়াতে পারবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, দুঃখজনকভাবে বেসরকারি বড় ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট করে। এর নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই। তবে দ্রুতই এ নৈরাজ্য রুখে দিতে মাঠে নামবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সরকারিভাবে ভর্তুকি দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিম উৎপাদন করে কম দামে বাজারে ডিম ছাড়লেই এ নৈরাজ্য রোধ হতে পারে।

 
Electronic Paper