ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডিম দিবসের র‌্যালিতে নীলসাগর গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৮

বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান নীলসাগর গ্রুপ। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক।

এ ছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বেসরকারি ডিম ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় এক হাজার লোক র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

শুক্রবার সকালে 'সুস্থ সবল জাতি চাই, সব বয়সেই ডিম খাই' এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সারাদেশের মতো রাজধানীতেও বিশ্ব ডিম দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

শোভাযাত্রাটি সকাল সাড়ে ৯টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে কদম ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড় থেকে সিরডাপ মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়।

এরপর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক।



তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত নকল ডিম নিয়ে আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। নকল ডিম বলে আদৌ কিছু নেই। কারণ একটা নকল ডিম তৈরি করতে যে পরিমাণ খরচ, তার চেয়ে স্বাভাবিক ডিম উৎপাদনে খরচ কম।

হিরেশ রঞ্জন বলেন, 'এটা মূলত ডিমের বিরুদ্ধে এক শ্রেণির মানুষের গুজব। যারা গুজব ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি আরো বলেন, '২০২১ সালে আমরা ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, সেই সময়ের মধ্যেই সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হবে।'

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশনের- বাংলাদেশ শাখার সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ।

তিনি বলেন, 'ডিমের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে। হাউসহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেরিন্ডিচার সাভের্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬-১৭ মেয়াদে ডিমের মাথাপিছু কানজাম্পশন ৭.২ গ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩.৫৮ গ্রাম। এই মেয়াদে গরুর গোশতের কানজাম্পশন ১০ শতাংশ ও মাছের কানজাম্পশন ২৬ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু ডিমের কানজাম্পশন বেড়েছে ৮৮ শতাংশ। আর বিপিআইসিসি'র হিসাব মতে দেশে বর্তমানে ডিমের বাণিজ্যিক উৎপাদন দৈনিক প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ।'



এ সেক্টরের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে তিনি বলেন, 'মুরগির খাদ্য বিদেশ থেকে ক্রয় করতে হয়। সেখানে অতিরিক্ত ট্যাক্স রয়েছে। যা এসেক্টরে অন্যতম প্রতিবন্ধক। আমরা মুরগির খাদ্য সংশ্লিষ্ট দ্রব্যের ওপর ট্যাক্স কমানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।'

আলোচনা সভায় কীনোট উপস্থাপন করেন বারডেম জেনারেল হসপাতালের নিউট্রিশন বিভাগের হেড শামসুন নাহার নাহিদ মহুয়া ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।

এদিকে, ডিম দিবস উপলক্ষে সকালে বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (বাফিটা) থেকে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রেসক্লাবসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ত্রিশ হাজার সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়।

 
Electronic Paper