ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভারতে ঘূর্ণিঝড় তিতলিতে নিহত ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৮:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৮

ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় তিতলির আঘাতে অন্তত ৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রদেশের শ্রীকাকুলাম ও বিজয়নগরাম জেলায় ঘূর্ণিঝড় তিতলি আঘাত হানলে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের এ দুই জেলায় তিতলি আঘাত হানার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রদেশের উপকূলীয় এলাকার গ্রামগুলোর সঙ্গে রাজ্যের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের পালাসা রেলস্টেশন।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের পার্শ্ববর্তী উড়িষ্যায় আঘাত হানে তিতলি। এ সময় ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটারের বেশি বেগে বাতাসের পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাত হয়। তবে উড়িষ্যায় তিতলির আঘাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েক।

এনডিটিভি বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে তিতলি। ঘূর্ণিঝড় তিতলি আঁছড়ে পড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উড়িষ্যার মধ্যে বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভূবনেশ্বর থেকে বিমানের পাঁচটি ফ্লাইটের উড্ডয়ন এবং অবতরণ বাতিল করেছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স।

উড়িষ্যার গ্যাঞ্জাম, গজপতি, ক্ষুরদা, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক ও বালাসোর জেলায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। এসব জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের আঘাতে গাছ উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ও টেলিফোন সংযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবরও এসেছে।

এর আগে বুধবার উড়িষ্যার রাজ্য সরকার উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উড়িষ্যা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় তিতলি ক্রমান্বয়ে দূর্বল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে এ দুই প্রদেশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছেন বিশাখাপত্তমের ঘূর্ণিঝড় সতর্ক কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শ্রীনিবাস।

 
Electronic Paper