উপকূলে উৎসবের আমেজ
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ, ৬৫ দিন পর সাগরে জেলেরা, বড় ইলিশের আশা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ১২:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২১
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রাতে। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে পুরো প্রস্তুত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর, মহিপুর, চাপলী ও কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। সরকারঘোষিত ৬৫ দিনের সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায়। ট্রলার-নৌকা মেরামত, নতুন জাল তৈরি এবং পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন মৎস্যজীবীরা।
আজ থেকে তারা সাগরে মাছ ধরতে যাবেন। ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল হওয়ায় বঙ্গোপসাগর ও সংশ্লিষ্ট নদীর মোহনায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এই সময় দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আলীপুর,মহিপুর, চাপলি ও কুয়াকাটা অঞ্চলের জেলেরা তাদের ট্রলার ও জাল মেরামতের পাশাপাশি তাদের নৌযানের ইঞ্জিনের কাজ শেষ সেরে রেখেছেন আগেই।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে নাসির মাঝি বলেন, সরকারঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আমরা পালন করেছি। ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আলীপুর মৎস্য বন্দরে অপেক্ষায় থাকা ষাটোর্ধ্ব মাঝি আ. রশিদ বলেন, ‘ট্রলারের মালিক ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। ট্রলারে আমরা ১২ জন স্টাফ রয়েছি। আশা করছি চাহিদা অনুযায়ী মাছ পাব। আর তা বিক্রির টাকা দিয়ে আড়তদার-মহাজনের দেনা পরিশোধ করব।
আলীপুর মৎস্য বন্দরের আড়ৎদার আবদুল জলিল বলেন, আড়তগুলোতে দু মাস পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেতে শুরু করেছে। অবরোধকালীন সময়ে প্রতিবেশী দেশের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরতে না পারলে জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ত।
আলীপুর মৎস্য আড়ত সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, অবরোধের কারণে ৬৫ দিনে মাছ ধরা পড়েনি। আশা করছি এবার বড় সাইজের পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলবে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত ২০ মে থেকে শুরু হওয়া ৬৫ দিনের অবরোধ শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হয়। উপকূলের জেলেরা নিজেরাই অনেকটা সচেতন হয়েছেন।