পশু বেচাকেনার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হোক
সম্পাদকীয়
🕐 ২:১৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২১
বাংলাদেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কোরবানির ঈদ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার হয়। সামষ্টিকভাবে এটি উৎসবে সীমাবদ্ধ না থেকে নানা রকম প্রভাব বিস্তার করে। অর্থনীতিতে ও সংস্কৃতিতে। এবার কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গবাদিপশু বিক্রয়ের জন্য হাটে নেওয়ার ক্ষেত্রে সংকট দেখছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আক্রান্তের ঝুঁকি আর চাঁদাবাজির ভয়ে এমন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রশাসন গবাদিপশু পরিবহনে সব ধরনের ভয় ও ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে খোলা কাগজ।
এবারই প্রথম দেশে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কোরবানির ঈদ আসছে। গত বছর করোনার মধ্যে ঈদ হলেও কোরবানির সময় করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমে এসেছিল। লকডাউন শিথিল ছিল বেশ সময় ধরে। তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক। এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু সর্বোচ্চ থাকা আর করোনা মৃত্যু-আক্রান্ত গ্রামকেন্দ্রিক প্রকট হওয়ায় সংকটের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে যে সব অঞ্চলে করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সেই সব জেলা দেশের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে গবাদিপশু বেশি রয়েছে। বছর ধরে এ সব অঞ্চলে খামারিরা পশু পালন করেছেন। তারা ঈদের অপেক্ষায় ছিলেন, যে কোনোভাবেই হোক তারা পশু বাজারে তুলবেন। দেরিতে হলেও কঠোর লকডাউন শিথিল করার কারণে খামারি ও ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি সবচেয়ে বড় সমস্যা। এক জেলা থেকে অন্য জেলা, এক জোন থেকে আরেক জোনে গরু বোঝাই করে যাওয়ার পরপরই নতুন নতুন চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। একে তো করোনার মধ্যে বাজারকাল হবে সংক্ষিপ্ত। তার সঙ্গে থাকবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এর সঙ্গে চাঁদাবাজি যুক্ত হলে খামারি ও ব্যবসায়ীরা পড়বেন বিপদে। তবে প্রশাসন সক্রিয় হলে সমস্যা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে গাবতলীর গরু ব্যবসায়ী এস্কান্দার আলী বলেন, নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কোরবানির পশু পরিবহনের খুব ভালো ফল পেয়েছিল নাটোরের ব্যবসায়ীরা। পুলিশের তদারকিতে নাটোর থেকে অন্যান্য জেলায় গরু নিয়ে গাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল। এতে চাঁদা কম দিতে হয়েছে। পাশাপাশি ডাকাতি হওয়ার ঝুঁকি থেকেও রক্ষা পেয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, সব পশু যাতে বিক্রি হয় সরকারের পক্ষ থেকে যত সহযোগিতা প্রয়োজন দেওয়া হবে। এজন্য প্রশাসনকে সেভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাস্তায় বা পশুর হাটে কোনো চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। কোরবানির পশু পরিবহন ও বাজারে তোলার প্রক্রিয়ায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আশ^স্ত করছে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম প্রত্যাশা করেছেন মন্ত্রী। খামারিসহ পশু বিক্রেতারা যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন বলেই প্রত্যাশা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228