সাভারে বিদেশি সবজি
সাভার প্রতিনিধি
🕐 ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
সাভারে বাণিজ্যিকভাবে চাইনিজ খাবারসহ পাঁচ তারকা হোটেলের রান্নায় ব্যবহৃত বিদেশি সবজি চাষ হচ্ছে। এ সবজি চাষ করে ভাগ্য ফিরিছেন সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মেইটকা গ্রামের অনেকেই। এখানকার উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ কয়েকটি এলাকার চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর কাওরান বাজারের পাইকারি বিক্রির আড়তেও সাভারের এ বিদেশি সবজির রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
বিদেশি সবজি চাষে সাভারের দক্ষিণ মেইটকা গ্রামের সফল উদ্যোক্তা হলেন মো. কাইয়ুম হোসেন। তিনি তার কৃষি খামারটি নাম দিয়েছেন ‘কৃষক বাংলা এগ্রো প্রডাক্ট’
কাইয়ুম হোসেন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিকভাবে এ সবজি চাষ করে আসছেন। বাবা আবদুল কাদেরের আগ্রহে প্রথমে তিনি ১০ শতাংশ জমিতে ‘বেবি কর্ন’ দিয়ে এ বিদেশি সবজি চাষ শুরু করেন। মূলত তিন ভাই মিলে এ কাজটি করছেন।
তিনি জানান, সবজি উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও সবজি তুলে সেটি বাজারজাতকরণের জন্য প্যাকেটজাত বা তৈরি করা তার কাজ। উৎপাদিত সবজি ব্যবহার করে তার বড় ভাই মোশারফ হোসেন সাভারের থানা রোড ও হেমায়েতপুরে দুটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ চালান। ছোট ভাইসহ তিনি ইতোমধ্যে ভারত, থাইল্যান্ড, মালোয়েশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে এসব সবজির বিজ সংগ্রহ ও চাষের কৌশল রপ্ত করে এসেছেন।
কাইয়ুম হোসেন আরও জানান, তিনি প্রায় দেড়শ বিঘা জমিতে এখন বিভিন্ন ধরনের বিদেশি সবজি চাষ করছেন। এর মধ্যে নিজের রয়েছে ১০ বিঘা, আর বাকি জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন। উৎপাদিত সবজির মধ্যে রয়েছে স্প্রিনিং অনিয়ন, সুইট কর্ন, সিমলা মরিচ, থাই পাতা, থাই আদা, থাই পালং শাক, জুকিনি, পাচলি, লাল কপি, প্রসেস্ত ও নন প্রসেস্ত বেবিকর্ন ছেলা, ব্রুকলি, বিট রুট, ডালের গেরা, বেন কার্ড তপু, বকচাই, বাঁধাকপি, চাইনিজ পাতা, সেলরি, সবুজ ক্যাপসিকাম, লাল ক্যাপসিকাম, হলুদ ক্যাপসিকাম, সালাত পাতা, লাল সালাত ও ওয়েস্টার মাশরুম প্রভৃতি।
চারা বা বীজ বপনের পর প্রকার ভেদে ২ থেকে তিন মাসের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায় বলেও তিনি জানান।