ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুত্তাকির দোয়া সহজেই কবুল হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:২১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

মুত্তাকির দোয়া সহজেই কবুল হয়


তাকওয়া অবলম্বনকারীকে আল্লাহ্ নিজ হাতে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন এবং তার পথ চলার জন্য আলোর ব্যবস্থা করবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তার রাসুলের প্রতি ইমান আনো, তিনি স্বীয় রহমতে তোমাদের দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন, আর তোমাদের নূর (আলো) দেবেন যার সাহায্যে তোমরা চলতে পারবে এবং তিনি তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা হাদিদ: ২৮) তাকওয়া অবলম্বনের আরেকটি ফজিলত হলো, যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তাকে সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের মানদ- দান করেন। পাপ-পুণ্যের মাঝে পার্থক্য করার যোগ্যতা দান করেন। পাশাপাশি তিনি তার গুণাহসমূহও ক্ষমা করে দেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তাহলে তিনি তোমাদের জন্য ফুরকান প্রদান করবেন, তোমাদের থেকে তোমাদের পাপসমূহ দূর করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।’ (সুরা আল-আনফাল : ২৯)

তাকওয়া অবলম্বনকারীর আমল সহজেই কবুল হবে। কেননা যে ব্যক্তির তাকওয়া নেই, সে হয়তো মোটেই আমল করবেনা, আর যদি করে তাহলে তা তাকওয়াশূন্য হওয়ার কারণ ইখলাস বিবর্জিত হতে বাধ্য। তাই আল্লাহ তায়ালা সে আমল কবুল করবেন না- এটাই স্বাভাবিক। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তো কেবল মুত্তাকিদের থেকেই কবুল করেন।’ (সূরা আল মায়েদা :২৭) তাকওয়া অর্জনকারীদের উদ্দেশে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানাব আমার বান্দাদের মধ্যে তাদেরকে যারা মুত্তকি।’ (সুরা মারইয়াম : ৬৩) তাকওয়া অবলম্বনকারী পরকালে নাজাত পেয়ে ধন্য হবেন। আল্লাহ তায়ালা এই মর্মে ইরশাদ করেছেন, ‘আর আল্লাহ মুত্তাকিদের তাদের সাফল্যসহ নাজাত দেবেন। কোনো অমঙ্গল তাদের স্পর্শ করবে না। আর তারা চিন্তিতও হবে না।’ (সুরা জুমার : ৬১)

তাকওয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ- সাবধানতা অবলম্বন করা। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহর শাস্তি ও অসন্তুষ্টির কার্যকারণসমূহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করাকেই তাকওয়া বলা হয়। সহজভাবে বলতে গেলে সবক্ষেত্রে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে পোষণ করাই তাকওয়া। আল্লাহভীতি বা আল্লাহপ্রীতিই হলো তাকওয়া। কারণ মানুষ ভয় করে তাকে যাকে ভালোবাসে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত সে, যে তোমাদের মধ্যে অধিক পরহেজগার বা মুত্তাকি।’ (সুরা হুজরাত : ১৩) মুত্তাকি হওয়ার জন্য, তাকওয়া অবলম্বন করার জন্য একজন মুমিনের মাঝে বেশ কিছু গুণাবলির সম্মিলন জরুরি। তাকওয়া শুধু অন্তরে সীমিত থাকার বিষয় নয়। বরং সত্যিকার তাকওয়াধারীর অন্তর ছাপিয়ে তাকওয়ার সৌরভ তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে, কর্মে ও আমলে ছড়িয়ে পড়ে। মুত্তাকি গুণাবলির মধ্যে কয়েকটি হলো- এক. ইমান বিল গায়েব বা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস। দুই. যথার্থরূপে নামাজ আদায়। তিন. আল্লাহর পথে অর্থসম্পদ ব্যয়। চার. আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন। পাচ. আখিরাতের প্রতি ইয়াকিন বা বিশ্বাস রাখা।

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আলিফ-লাম-মিম। এটি এমন কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই, মুত্তাকিদের জন্য হিদায়াত স্বরূপ। যারা গায়েবের প্রতি ইমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। এবং যারা ইমান আনে, যা তোমার প্রতি নাজিল করা হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাজিল করা হয়েছে তার প্রতি। আর আখিরাতের প্রতি তারা বিশ্বাস রাখে। তারা তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াতের ওপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। (সুরা আল বাকারা : ১-৫)

 
Electronic Paper