আজব চাকরি
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৬, ২০২১
প্রতিদিন চাকরি করতে করতে আপনি হাঁপিয়ে যাচ্ছেন একঘেয়ে কাজ কার আর ভালো লাগে বলুন। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন পৃথিবীতে এমন অনেক চাকরি আছে যাকে আপনি চাকরি হিসেবে ভাবতেই পারবেন না।
পৃথিবীজুড়ে অনেক মানুষের বেঁচে থাকার রসদ জোগাচ্ছে এই চাকরিগুলো। প্রফেশনাল পুশার: ট্রেনে-বাসে চলতে গেলে এই কথাটি প্রায়ই কানে আসে ‘দাদা ধাক্কা দেবেন না’। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ধাক্কা দেওয়ার কাজটি কারও কারও পেশা হতে পারে। জাপান ও নিইইয়র্ক সিটিতে রেলস্টেশনে ভিড়ের সময় প্রফেশনাল পুশাররা ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের ভিতর লোক ঢুকাতে সাহায্য করে। আগে এটি স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম চাকরি ছিল। এখন এটি ফুলটাইম চাকরি হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছে।
ভাড়া করা প্রেমিকের চাকরি : আপনার কি কোনও প্রেমিক আছে? না থাকলে নো চিন্তা বস! অনায়াসে ভাড়া করতে পারেন প্রেমিক। আজকাল ইন্টারনেটে এমনই সব লোভনীয় বিজ্ঞাপনের দেখা মেলে। ছবি, নামসহ কার ভাড়া কত সব তথ্য থাকবে হাজির। তবে এটি কোনও বেআইনি কাজ না। জাপান, চীন, আমেরিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে প্রেমিক ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে এবং এটি সেসব দেশে আইনসম্মত।
বমি পরিষ্কারের চাকরি : ছোটদের বিভিন্ন পার্কে নানা ধরনের রাইড থাকে। আতঙ্ক থাকা সত্ত্বেও এসব রাইডে চড়ার লোভ সামলাতে পারে না অনেকে। এর মধ্যে এমন কিছু রাইড আছে যাতে চড়ে বমি হয় না এমন মানুষ কমই আছে। তাদের তো আর চিন্তা নেই। বমি করেই খালাস। শুনলে অবাক হবেন সেসব বমি পরিষ্কারের কাজটি করে কেউ কেউ তার জীবিকা অর্জন করছে। তাদের শুধু পার্কের বমি পরিষ্কারের জন্যই রাখা হয়। আর তারা কোনোরকম অস্বস্তিবোধ ছাড়াই কাজটি করে থাকে।
ডিওডোরেন্ট টেস্টার : এই পেশার মানুষদের দিনের পুরো সময়টা অন্যের শরীরের ডিওডোরেন্টের গন্ধ পরীক্ষা করতে হয়। কোন ফ্লেভারটি আমার, আপনার জন্য ভালো হবে এটা তারাই বাছাই করেন। ডিওডোরেন্টের গন্ধ সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় বগল আর গলায়। তাই এই বিষয়ে পেশাদার পরীক্ষককে মূলত বগলের গন্ধই বেশি শুঁকতে হয়। একবার পরীক্ষককে শুঁকতে হয় বগলের দুর্গন্ধ থাকা অবস্থায়, তারপর তাঁকে শুঁকতে হয় সেন্ট না দিয়ে সাধারণ গন্ধ, একেবারে শেষে সেন্ট লাগানোর পর সুগন্ধে ভরা বগলের গন্ধ। এরপরই পরীক্ষক কোম্পানিকে রিপোর্টে লেখেন সেই বিশেষ সেন্ট বা ডিওডোরেন্টের পারফরম্যান্স, ভাল দিক- খারাপ দিক, বাজারে কতটা পাবে সেই সব বিষয়ে।
ওয়াটার স্লাইড পরীক্ষক : ওয়াটার কিংডমে গিয়ে জলের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আনন্দ করছেন। ওয়াটার স্লাইড দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিচে নামছেন। কোনও ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন না। এর কারণ ওয়াটার স্লাইড পরীক্ষক। আপনাকে সুস্থ রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওয়াটার স্লাইড টেস্টার আগে থেকেই স্লাইডটি পরীক্ষা করে নেয়। এই স্লাইডে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না- এটা দেখার দায়িত্ব তাঁদের।