ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যে ভুল করা যাবে না

প্রিয় ক্যাম্পাস ডেস্ক
🕐 ১:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২১

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যে ভুল করা যাবে না

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিশ্চিত করার। সেই লক্ষ্যে সবাই তোড়জোড় শুরু করে দেয় কিন্তু দিনশেষে সবাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না। আজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির সময়ের এমন কিছু ভুল নিয়ে লিখেছেন -মো. আবদুল্লাহ

পাবলিক পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষাকে এক মনে করা
আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বসার আগে বেশ কিছু পাবলিক পরীক্ষার মুখোমুখি হই যেখানে আমাদের সবারই লক্ষ্য থাকে জিপিএ-৫ পাওয়া। আমরা অনেকেই পাবলিক পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষা এক মনে করি। কিন্তু দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভর্তি পরীক্ষায় তোমার সব থেকে কাছের বন্ধুও তোমার প্রতিযোগী। এখানে তোমাকে সাহায্য করার মতো কেউ নেই। এখানে নিজেকেই নিজে সাহায্য করতে হবে।

পাঠ্যবইকে অবহেলা করা
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বেশিরভাগ প্রশ্নই পাঠ্যবই কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। একটা সময় পাঠ্যবই অপেক্ষা বাহির থেকে বেশি প্রশ্ন হতো। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ধারণা থেকে বের হয়ে এসে পাঠ্যবইকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও আমরা এখনো বের হয়ে আসতে পারিনি। তাই অনেকেই পাঠ্যবইকে অবহেলা করি।

অগোছালো পড়াশোনা
আমি এমন অনেক শিক্ষার্থীকে দেখেছি যারা অনেক পড়াশোনা করেছে কিন্তু কোথাও চান্স পায়নি। এদের চান্স না পাওয়ার প্রধান কারণই অগোছালো পড়াশোনা। এরা অনেক পড়াশোনা করেছে কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট প্যাটার্ন কিংবা রুটিন অনুসরণ করে পড়াশোনা করেনি। যখন যেই ভাইয়া যা পড়তে বলেছে এরা তাই পড়তে শুরু করে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে কোনো পড়াই ভালোভাবে পড়তে পারেনি।

ধারাবাহিতা অনুসরণ না করা
তোমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা একদিন ১০/১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করো কিন্তু এরপরে ২/৩ দিন আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। এডমিশন টেস্টে ভালো করতে হলে অবশ্যই ধারাবাহিক হতে হবে। প্রতিদিন গড়ে ৮ ঘণ্টা করা পড়লেই যথেষ্ট কিন্তু সেটা ধারাবাহিক হতে হবে। ধারাবাহিতা বজায় রাখতে না পারলে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়া অনিবার্য।

গৎবাঁধা মুখস্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা
আমরা অনেকেই এডমিশন টেস্টের সময় গৎবাঁধা মুখস্ত করি। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সব কিছু মুখস্ত করে মনে রাখা সম্ভব নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন টেকনিক কিংবা কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যেমন, ভোকাবুলারি, সাধারণ জ্ঞান, অংকসহ অনেক ক্ষেত্রেই কৌশল অঅবলম্বন করে পড়াশোনা করতে হবে।

কোচিং নির্ভরতা
তোমরা অনেকেই মনে করো কোচিং-এ ভর্তি হওয়া মানেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স নিশ্চিত। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তুমি পরিশ্রম কিংবা ঠিকমতো পড়াশোনা না করলে কোচিং তোমাকে চান্স পাইয়ে দিতে পারবে না। তাই চান্স পেতে হলে অবশ্যই তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে।

অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাস ভালো কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভালো না। তথাপি অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফলে বিভিন্ন জায়গায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেটা তোমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।

রিভিশন ও চর্চা না করা
যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না, সেহেতু অনেকেই কোনোমতে একবার সিলেবাস শেষ করে ভর্তিযুদ্ধে নেমে যায়। কিন্তু আমরা যখন প্রথম কোনো কিছু পড়ি, তখন তার বেশিরভাগই ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই একাধিকবার পড়া রিভিশন দিতে হবে। শুধু রিভিশন দিলেই হবে না, অনেক চর্চাও করতে হবে, প্রশ্ন ব্যাংক, মডেল টেস্ট ইত্যাদি সমাধান করতে হবে। কারণ আমরা জানি ‘Practice Makes Permanent’

লেখক : মো. আবদুল্লাহ, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 
Electronic Paper