ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৯৮ বছরেও কাজ

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৮, ২০২১

৯৮ বছরেও কাজ

বিজয় পাল সিংয়ের বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলিতে। প্রাদেশিক রাজধানী লক্ষ্ণৌ থেকে ৭৯ কিলোমিটার দূরের এ শহরটিতে তার পুরো জীবন কেটেছে। ৯৮ বছর বয়সী এ বৃদ্ধের এখন অবসর কাটানোর কথা। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। পেটের দায়ে নামতে হয়েছে পথে। এই বয়সে বেছে নিয়েছেন ছোলা বিক্রির পেশা। স্থানীয় রেলস্টেশন কিংবা গ্রামের পথের ধারে ছোট টেবিল পেতে চলে তাঁর জীবিকা। 

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাঁপা কাঁপা হাতে ক্রেতাদের জন্য ছোলা বানান বিজয় পাল সিং। দিনভর চলে তাঁর এ কাজ। সম্প্রতি বিজয় পালের ছোলা বানানোর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারের নজরে এলে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জীবনের বাকি সময়টা তিনি যেন একটু স্বস্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট একটি টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ছোলার মধ্যে লেবু মিশিয়ে তা এক টুকরা কাগজে করে ক্রেতার দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন বিজয় পাল। এ সময় তাকে পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘পরিবার অনেক বড়।’ এই বয়সে কাজ করার কারণ জানতে চাইলে তার স্পষ্ট জবাব, ‘আমি ঘরে বসে থাকতে চাই না। ঘরে বসে থাকলে বরং দুর্বল লাগে।’

একজন ক্রেতা ভিডিওটি ধারণের পর অনলাইনে প্রকাশ করলে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা নজরে আসে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে বিজয় পালের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে বিজয় পালকে রায়বেরেলি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বৈভব শ্রীবাস্তব এ সময় তার হাতে সহায়তা হিসেবে ১১ হাজার রুপি তুলে দেন। একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি শাল, হাঁটাচলার জন্য লাঠি এবং রেশন কার্ড দেওয়া হয়।

বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি মুখ্যমন্ত্রী দেখেছেন এবং নোট দিয়েছেন। বিজয় পালকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি নানা উপহার দিয়েছে প্রশাসন। তার বাড়িতে টয়লেট নির্মাণের জন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বয়োবৃদ্ধদের ঘর করে দেওয়ার জন্য সরকারি তহবিল রয়েছে। প্রয়োজনে সেখান থেকে তাকে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রশাসন তার পাশে রয়েছে। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।’

 
Electronic Paper