ঘাম ঝরানো তরমুজে হাসি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৮, ২০২১
সঠিক পরিচর্যা আর ঘাম ঝরানো প্রচেষ্টায় এবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে মৌসুমের তিন মাস আগেই বাজারে তরমুজের পসরা সাজিয়ে ভালো দাম হাঁকাতে পারছেন চাষিরা। দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার চাষিদের মুখে। করোনার ধকল কাটিয়ে এ বছর উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কাক্সিক্ষত লাভের আশা করছেন তরমুজ চাষিরা। ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে তরমুজের খেত। কেউ তরমুজ কাটছেন। কেউ স্তূপ করছেন। কেউ ট্রলি-ট্রাকে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব তরমুজ পাইকাররা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যাবেন।
চাষিরা জানান, কোনো ধরনের রোগ বালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল তোলা পর্যন্ত বেশ আনন্দেই শ্রম দিয়েছেন তারা। এখন পাইকারি ও খুচরা বাজারে এসব তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকাররাও রসাল তরমুজ নিয়ে ফিরছেন হাসিমুখে। বাজারে আগাম তরমুজের চাহিদা থাকায় দামও বেশ ভালো।
লতাচাপলী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের চাষি রাজ্জাক জানান, প্রায় চার মাস আগে প্রায় ১৩ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করেন তিনি। কনকনে শীত আর গা ঝলসানো রোদ উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রমের পর ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনিসহ মোট ছয় ভাই মিলে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সফলতার হাতছানি পান। বর্তমানে তরমুজের খেতটি ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। খরচের প্রায় নয় লাখ টাকা বাদে তাদের ছয় লাখ টাকা আয় হয়েছে।
ধুলাসার ইউনিয়নের চাষি মো. মোদাচ্ছের হাওলাদার জানান, তিনি চার একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। উৎপাদন খরচ আড়াই লাখ টাকা বাদ দিয়েও সাত লাখ ৬৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। খেতে এখনো প্রায় দুই লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, উপজেলার কুয়াকাটা, লতাচাপলী, মহিপুর, নীলগঞ্জ, ধানখালীসহ প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক চাষিদের পরামর্শ দেই। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম তরমুজ চাষিরা বেশি দামে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন।