ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নারীর এগিয়ে যাওয়া

প্রসেনজিৎ কুমার রোহিত
🕐 ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৬, ২০২১

নারীর এগিয়ে যাওয়া

আন্তর্জাতিক নারী দিবস (পূর্বনাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। বিশ্বের একেক প্রান্তে নারী দিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য একেক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা বেশি গুরুত্ব পায়। 

প্রথম ১৯০৯ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। ওই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আমেরিকায় নারী দিবস উদযাপন করা হয়েছিল। সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা নিউ ইয়র্কে ১৯০৮ সালে বস্ত্রশ্রমিকরা তাদের কাজের সম্মান আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট শুরু করেন। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজ আর সমমানের বেতনের দাবিতে চলে হরতাল।

১৯১০ সালে কোপেনহেগেনের উদ্যোগের পর, ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস চিহ্নিত হয়েছিল। নারীর কাজের অধিকার, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের বৈষম্যের অবসানের জন্য প্রতিবাদ করেন লক্ষ মানুষ। একই সঙ্গে রাশিয়ান মহিলারাও প্রথমবার ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। ইউরোপের নারীরা ৮ মার্চ শান্তিবিষয়ক কার্যক্রমকে সমর্থন করে বিশাল মিছিলে নামেন। ১৯১৩-১৯১৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতিবাদ জানানোর একটি প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে। আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রগুলো নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়। যেখানে প্রতি পদে নারীদের অসম্মান, নির্যাতন করা হত, নারীদের ভোগের বস্তু মনে করা হত। কোনো অবস্থাতেই নারীরা সম্মান পেত না, রাস্তাঘাটে লাঞ্ছিত হত, সেই সবের বিরুদ্ধে নারীদের সম্মান রক্ষার্থে দিনটি উদযাপন করা হয়।

তাই কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। আমাদের দেশেও নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য প্রতিবছর দিনটি অনেক জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। নারীদের অধিকার রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন, যাতে তারা মাথা উঁচু করে নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে, পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নিতে পারে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে নারী-পুরুষের বৈষম্য ভুলে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রসেনজিৎ কুমার রোহিত : শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ
[email protected]

 
Electronic Paper