ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তরুণ জীবনের অনুপ্রেরণা

সিদরাতুল মুনতাহা
🕐 ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৬, ২০২১

তরুণ জীবনের অনুপ্রেরণা

একটি দেশের উন্নয়নে তরুণ সমাজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাদের সফলতাই পারে একটি দেশকে এগিয়ে নিতে, দেশের উন্নতি সাধন করতে। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি তরুণ সমাজকে লড়াই করে সফলতা অর্জনের জন্য ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করে, উদ্বুদ্ধ করে। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু তৎকালীন বঞ্চিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত জনগণকেই আন্দোলন করতে উদ্বুদ্ধ করেনি, বরং এখনো জাতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা হিসেবে রয়ে গেছে। তার এই নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করে চলতে পারলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। 

তাছাড়া তার নির্দেশনাগুলো চিরকাল তরুণ সমাজকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৪২৭টি প্রামাণ্য ঐতিহ্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি প্রথম অলিখিত ভাষণ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সমগ্র বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণটি দিয়েছিলেন। যা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। সেখানে প্রায় দশ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের ভাষণের মধ্য দিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস পেয়েছিল বাঙালি জাতি। তার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পর্যাপ্ত অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ নয় মাস প্রাণপণ লড়াই করে বিজয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলার মানুষ। বাঙালির সঙ্গে লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল শত্রুপক্ষ। আর সেই বিজয়কে টিকিয়ে রাখতে হলে, দেশকে উন্নতির শেকড়ে অবতীর্ণ করতে হলে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি চিরকাল স্মরণে রাখতে হবে।

বাংলার তরুণ সমাজ যদি বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের মাধ্যমে দেওয়া নির্দেশনাগুলোকে অনুপ্রেরণা হিসেবে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে থাকে তাহলে আগামীতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে। ভাষণটি বিশ্বঐতিহ্যে স্থান পাওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এক নতুন পরিচয়ে পরিচিত হতে পেরেছে। ভাষণটি সম্পর্কে তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করতে, তাদের কাছে ভাষণটির তাৎপর্য তুলে ধরতে দেশের বিভিন্ন পাঠ্যবইয়ে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং পাঠদান করানো হয়। তরুণরা যাতে ভাষণটির দ্বারা আরও অনুপ্রাণিত হয়, উজ্জীবিত হয় সেজন্য প্রতিবছর ৭ মার্চ তারিখে বিভিন্ন কর্মসূচি, চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভার মাধ্যমে ভাষণটিকে সমগ্র জাতির সম্মুখে তুলে ধরা হয়। তরুণ সমাজও ঐতিহাসিক ভাষণটি বুকে ধারণ করে প্রতিবছর তাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসমূহে দিনটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। আজকের তরুণ প্রজন্মকে আগামী দিনে সফলতা অর্জন করতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।

সিদরাতুল মুনতাহা : শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

 
Electronic Paper