ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গোয়ালিয়ায় মিনি বান্দরবান

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার)
🕐 ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০১, ২০২১

গোয়ালিয়ায় মিনি বান্দরবান

ভূ-প্রাকৃতিক গঠনের কারণে এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা এক সময় বেশ নাজুক ছিল। এখন বদলেছে সব। উন্নত হয়েছে অবকাঠামো। সরকারের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প বাড়িয়ে চলেছে এলাকার সৌন্দর্য। মিশ্রপ্রজাতি দ্রুত বর্ধনশীল বনায়নের আওতায় ২০১৯-২০২০ সালে ৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে রোপণ করা হয়েছে ছাতিয়ান, আমলকী, বহেড়া, কড়ই, অর্জুন, কদম, কাঠবাদাম, চিকরাশি, শিমুল, গামার, আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা। এখানকার ইতিহাসের সঙ্গে হাতির সম্পর্ক অভিন্ন। তিন দশক আগেও এখানে হাতির পিঠে চড়ে চলাচল করতেন অনেকে।

এখন বাহন বদলেছে, কিন্তু কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে এখনো দেখা মেলে হাতি। প্রাকৃতিক লীলাভূমি গোয়ালিয়ায় তাই দিন দিন বাড়ছে পর্যটক সংখ্যা। গোরাইয়ার দ্বীপ এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গোয়ালিয়ায় শরৎ হয়ে ওঠে অন্যরকম। পাহাড় ছোঁয়া নীলাকাশ, তার পাদদেশে কাশফুল হাসে। স্বচ্ছ নীল আকাশে সাদা মেঘ, মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহে মুগ্ধ হয় পর্যটক। এ সময় প্রচুর ভিড় দেখা যায়। তিনি জানান, শীতের সময় বেড়াতে আসা লোকজন রেজুখালে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান।

পার্বতীপুর থেকে বেড়াতে আসা মোহাম্মদ মনোয়ারুল মোস্তফা সাগর বলেন, ‘আমার বাবা গোলাম মোস্তফা উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন। উখিয়াতে রয়েছে আমার শৈশবস্মৃতি। নতুন বউ নিয়ে তিন দিন আগে এসেছি সৌন্দর্যের রানী উখিয়াকে দেখাতে।’ ঢাকার মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা লাফিস খান বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে গোয়ালিয়ার নাম শুনেছি। তারপর দেখতে এলাম। খুবই ভালো লাগছে। এলাকার প্রচার-প্রচারণা ভালো হলে আমার মতো না জানা অনেকেই জানতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘এখানে না এলে প্রকৃতির অনেক কিছুই আমার অজানা থেকে যেত।’

 
Electronic Paper