শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ৩০ মার্চ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর আজ এ সিদ্ধান্ত আসল। শনিবার রাতে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৩০ মার্চের আগপর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ চলছে। একই সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারিদের টিকা দেওয়া সম্পন্ন করতে পারব। আর ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলে দেওয়া হবে। এরমধ্যে হলের সংস্কার কাজ শেষ করা হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মেরামতের কাজ করবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি)।
ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনিটরিং করবেন।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ছুটি ছিল আগামীকাল রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কি-না সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে। তাছাড়া গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।