সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: ৮ দিনেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামিরা
নোয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামিরা। তবে হত্যাকাণ্ডের কিছু আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানান কর্মসূচী।
শনিবার বিকালে নিহত মুজাক্কিরের ভাই নূর উদ্দিন জানান, মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আমরা যেহেতু ওইদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম না তাই আমরা কাউকে না দেখার কারনে মামলায় অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করেছি। ওইদিন রাতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্ত করা হয়। আমরা পিবিআই টিমের কাছে আশাবাদী। তাঁরা দ্রুত মুজাক্কির হত্যাকারীদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করবেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা মামলটি গভীরভাবে তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলসহ প্রতিটি বিষয় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয় নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে সহকর্মী মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে আগামী পহেলা মার্চ সোমবার সকাল ১০টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল ও তিন দিনের জন্য কালো ব্যাচ ধারণের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার ময়র মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে।
ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কির’সহ ৭-৮ জন। পরে আশংকাজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
মুজাক্কির অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন।
সংঘর্ষ, গুলির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে পুলিশের মামলা দুটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং মুজাক্কির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবার দায়ের করা মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। বাদলের দায়ের করা মামলাটি কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।