ঘেরের পাড়ে সবজিচাষ
আবুল হাসান, মোংলা
🕐 ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
আশির দশকে মোংলা উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় পানি ও মাটিতে লবণাক্তার তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে কমে যায় ধানের উৎপাদন। জমির মালিকরা ঝুঁকে পড়েন চিংড়ির চাষে। শুরুতে লাভবান হলেও প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে এর উৎপাদন। অনেকের চিংড়ির ঘের থাকলেও সেখানে মাছ নেই। আবার কেউ কেউ চিংড়ির পাশাপাশি খুঁজছেন ব্যবসার নতুন খাত। এমনই সব চিন্তায় অনেকেই চিংড়ির ঘেরের পাড় ঘিরে চাষ করছেন সবজি। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করছেন পাইকারি বাজারে। লাভবান হচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, মোংলার বিভিন্ন অঞ্চলে চিংড়ির ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে অনেকের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। আর্থিকভাবে লাভবানসহ ফিরেছে তাদের সচ্ছলতাও ফিরেছে। উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, ঘেরের ভেড়িতে মাচা করে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করছেন তিনি।
পানির ওপর মাচা করে তাতে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, করলা ও সিম এবং ভেড়িতে ঢেঁড়স, কলা ও পেঁপে চাষ করেন। নিজের জমিজমা না থাকলেও অন্যের চিংড়ি ঘেরের পতিত জমিতে মৌসুমি সবজি চাষ করেন মোংলার কাইলকাবাড়ি গ্রামের কৃষক রজব আলী। বিভিন্ন প্রকারের সবজি আবাদে এ বছর ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় করে ছিলেন তিনি।
শুধু লাউ বিক্রি করে এ পর্যন্ত লাখ টাকার বেশি আয় হয়েছে তার। আর যে পরিমাণ সবজি চাষ হয়েছে তাতে করে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক ঘের ব্যবসায়ীরা এখন মাছের পাশাপাশি সবজি চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন, মাছের ঘেরে মাচা করে সবজি চাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ ক্ষেত্রে কৃষকদের নানা রকম পরামর্শসহ তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে মৌসুমি সবজি চাষ হয়েছে। এ খাতে কৃষকদের কিভাবে সরকারি সহায়তা দেওয়া যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।