ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বসন্তের বিকেল

সুপর্ণা রহমান
🕐 ১২:১৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১

বসন্তের বিকেল

বসন্ত বাতাসে গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুরা মেতে উঠেছে। হাওয়া বদলের জন্যে গুগল ম্যাপে ঘোরাঘুরি করছে ওরা। ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে বংশী নদী। দুপুরে খেয়ে সেদিকেই ছুটল রথী মহারথীরা। সাভারের থানা স্ট্যান্ড হতে রিকশায় ১০ টাকা। নেমেই চোখ হকচকিয়ে যাবে। পাশে বিশাল খাদ এখানে চলছে ক্রিকেট খেলা। সামনে এগোলেই নদী আর মাঠের পর মাঠ। বিকেলের রোদ মাখা আলো ও বাহারি নৌকা দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে নিমিষেই।

নদীর ওপারে রাক্ষস রাজার মতো মুখ আর কিছু বাতি জ¦লছে। এই উঁচু নিচু রাস্তা মিলেছে নদীর তীরে। সেখানে ফুচকা, বাদাম নিয়ে বসে আসেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। একসময় বংশী নদীকে ঘিরে কৃষি ও শিল্পে নির্ভর ছিল রাজধানী ঢাকা। বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য পরিচিতি পায় এই জলপথ। সেই খরস্রোতা নদী এখন মৃত প্রায়। পালবিহীন নৌকায় নদী আমাদের পার করে দিল মধ্যবয়সী মাঝি।

নীলাবর্ষা পার্কের ক্যাফে থেকে ভেসে আসে গানের আওয়াজ। মনটা গানের তালে ফুরফুরে হয়ে গেল। এখানে সব বয়সের মানুষেরই আনাগোনা চোখে পড়ল। পাথরের তৈরি ঝরনা এই পার্কের প্রধান আর্কষণ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠতে হয় ওপরে।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে এখানে আসা। ক্যাম্পাসের পাশে বংশী নদী আর নদীর পাশে এই পার্ক। আড্ডা দেওয়ার জন্য দারুণ পরিবেশ।

বাচ্চাদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা রয়েছে। রঙ-বেরঙের পশু পাখিতে সাজানো চারদিকে। কেউ বাঘের সঙ্গে মুখের ভঙ্গিমা পাল্টিয়ে ছবি তুলছে। কেউ ডলফিনের সঙ্গে, কেউ মৎস্যকুমারীর সঙ্গে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো। আলোও ফুরিয়ে গেছে এখন ফিরে যাওয়ার পালা। গোধূলীর আলোয় স্থাপনাগুলো চকচক করছে। গোলটেবিলের আড্ডা শেষে ক্যাম্পাসের পথে সবাই। স্মৃতিগুলো মুঠোফোনের ক্যামেরায় বন্দি হলো। নিস্তব্ধ নদীর পাড়ে বাতাসের শব্দ। নদীতে ঢেউ উপড়ে পড়ছে আর বয়ে চলছে আমাদের নৌকা।

 
Electronic Paper