মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে মোট ৫০টি পাবলিক ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় তিনটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ধারার ২০টি এবং কৃষিসহ মোট ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এবার গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিচ্ছে। বাকিগুলো নিজ নিজ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বুয়েটসহ ৫টি ছাড়া সব বিশ্ববিদ্যায়লই গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিচ্ছে। মোট ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন বরবে।
জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রাথমিক আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের কোনও ফি দিতে হবে না। যেসব শিক্ষার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তারা সবাই প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬ দশমিক ৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬ থাকতে হবে। তবে প্রতি শাখায় (বিজ্ঞান-বাণিজ্য-মানবিক) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১. প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধু এ বছরের জন্যই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা ৫০০ টাকা ফি জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন।