আলোর বাতিঘর বি এম মুন
লিটন ঘোষ জয়, মাগুরা
🕐 ৯:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
মাগুরায় আলোর বাতিঘর নামে বি এম মুন। যিনি শিক্ষাক্ষেত্রে রেখে চলেছেন অসামান্য অবদান। মাগুরা সদরের সাজিয়াড়া গ্রামের আর এ এইচ রাহ এবং আর এম এস অজুর্নার সন্তান তিনি। মাগুরার আপামর মানুষের কাছে যিনি ‘মুন ভাই’ হিসেবে বেশি পরিচিত।
কেননা জেলার নতুন কোনো স্কুল-কলেজ মানেই তিনি। যেখানেই নতুন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন, সেখানেই ডাক পড়ে তার। কিভাবে স্বীকৃতি নিতে হবে, কোনো রেজ্যুলেশন লিখতে হবে এবং কিভাবে, কত ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে মন্ত্রণালয় ও বোর্ডে। এ ধরনের সব কাজেরই সুদক্ষ তিনি।
বি এম মুনের দেওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ৫৩টি স্কুল ও কলেজের গড়াপত্তন হয়েছে তার হাতে। যার মধ্যে ৩৩টি স্কুল ও কলেজ এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি ১৯৯৪ সালে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে বিএ পাসের পর স্থানীয় চক্ষু হাসপাতালে ব্রাদার হিসেবে চাকরি নেন।
চাকরিরত অবস্থায় এলাকাবাসীর প্রয়োজনে ১৯৯৫ সালে কয়েকজন বন্ধু মিলে সাজিয়াড়া এলাকায় নিয়াশা নামের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল গড়েন। এরপর আর পিছু হাঁটেননি বরং আরও বেশি গতি নিয়ে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। তবে সবটুকুই স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে করে যাচ্ছেন।
মুন বলেন, ‘পৃথিবীতে একেকজনের আগমন একেক কাজের জন্য। প্রথম পর্যায়ে শখের বশে একটি স্কুল করতে গিয়ে যখন সফল হলাম; তখন হঠাৎ মনে হলো- এটিই বোধ হয় আমার জীবনের সৃষ্টিকর্তা নির্ধারিত একমাত্র কাজ। সে কারণে এটিকেই আমি জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে নিয়েছি। এখন পিছু ফেরার কোনো উপায় নেই। মাঝে মধ্যে শারীরিক কারণে খুব অনাগ্রহ জন্মে কাজটির প্রতি। তবু উদ্যোগী মানুষরা যখন ডাকে ফেরাতে পারি না।’