৩ মাস ধরে ভাঙা বাঁশের সাকো!
তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
🕐 ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
রংপুরের পীরাগছা উপজেলার মাছুয়াপাড়া জামে মসজিদ থেকে পরাণ স্কুল ও হিন্দু পাড়া সংযোগ সড়কের আজাদুল মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন পশ্চিমদেবু ডোরাকুটা ক্যানেলের উপর চলাচলের বাঁশের সাকো ভেঙ্গে গত ৩ মাস ধরে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর থেকে মাটি সয়েল টেষ্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হলে প্রভাবশালী একটি মহল ব্রীজটি নির্মাণে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তারা শত বছরের রাস্তা ছেড়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য পুকুর পাড়ে ব্রীজ নির্মাণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে গ্রামবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাছুয়াপাড়া জামে মসজিদ থেকে পূর্বদিকে পরাণ স্কুল ও হিন্দু পাড়া কাচা সংযোগ সড়কের আজাদুল মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন ডোরাকুটা ক্যানেলের উপর দীর্ঘদিন থেকে একটি ব্রীজের দাবি করে আসছিলো আশেপাশের তিন গ্রামের মানুষ। তারা গ্রামে চাঁদা তুলে ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের সার্বিক সহযোগিতায় ৮০ ফিট লম্বা একটি বাঁশের সাকো তৈরি করে চলাচল করে আসছিলো।
প্রতি বছর সাঁকোটি মেরামত করা হলেও গত তিন মাস ধরে সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে আছে। মানুষজন চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর থেকে সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য মাটি সয়েল টেষ্ট করা হয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হলে ওই গ্রামের প্রভাবশালী মৃত নেদু প্রামানিকের ছেলে এলাহী বকস, তার ছেলে ময়েন উদ্দিন রকেট, মোখলেছুর রহমান মিন্টু ও দিলু বকস এর ছেলে আলাউদ্দিন ব্রীজটি নির্মাণে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তারা শত বছরের রাস্তা ছেড়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য আব্দুল হামিদ ও মেরাজ উদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড় ঘেঁষে নতুন রাস্তা তৈরি করে ব্রীজ নির্মাণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আব্দুল হামিদ ও মেরাজ উদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন কোন সড়ক নেই। কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে পুকুর পাড় ও বাঁশঝাড় কেটে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। পাশে একটি সাকোও রয়েছে। এর থেকে ৩শ ফিট দুরে শত বছরের রাস্তা সংযোগ সড়কে ভাঙ্গা বাঁশের সাকো পড়ে আছে। মানুষজন নিচ দিয়ে চলাচল করছে।
গ্রামবাসী আব্দুল কাদের (৭০), আব্দুল মতিন, আব্দুল গফুর মিয়া, শ্রী মনোরঞ্জন বলেন, এটি শত বছরের রাস্তা। ব্রীজ হলে এখানে হবে। কারো স্বার্থ দেখা ঠিক হবে না।
স্কুল শিক্ষক আজাদুল ইসলাম বলেন, সংযোগ সড়ক রেখে পুকুর পাড় ও আবাদি জমি দিয়ে নতুন রাস্তা তৈরি করছে একটি পক্ষ। তারা ব্রীজটি নির্মাণে বাঁধা সৃষ্টি করে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য উঠেপড়ে লাগছে। এতে গ্রামবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এলাহী বকস ও তার ছেলেদের সাথে যোগায়োগ করা হলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জমির রবু সরদার ও ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন মিঠু বলেন, গ্রামবাসীর মতামতের ভিত্তিতে সঠিক স্থান নির্নয় করে ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, সয়েল টেষ্ট করে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টি সুরাহা করা হবে। তবে কাগজপত্রের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।