শিমের ভালো ফলনে চাষির মুখে হাসি
সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
কিশোরগঞ্জ জেলার সবজি চাষিদের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। এবার জেলায় নতুন ‘বারি-৪’ ও ‘ইপসা-১’ জাতের শিমের ফলন ভালো হয়েছে। ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ কারণে সবজি চাষিরা এবার ভীষণ খুশি।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার আট হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে শীতের সবজি শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
দেখা গেছে, শীতের আগাম বার্তায় কুয়াশায় ভেজা ভোরের আলোতে শিম খেতে কাজ করছেন কৃষকরা। জেলার অধিকাংশ কৃষক এবার বেশি করে শিম চাষ করেছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এ শিম সরবরাহ করেন তারা।
চাষিরা জানান, ঢাকা শহরের কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিশোরগঞ্জের শিমের ভালো চাহিদা। অধিকাংশ শিম খেত থেকে তোলার পর বাড়ির উঠানে বা সড়কের পাশে স্তূপ করা হচ্ছে। পরে তা বস্তায় ভরে ওজন দিয়ে মণ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। খেত থেকে তুলে আনা শিম বাজারে পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকাররা স্থানীয় হাটবাজার থেকে শিম ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছেন। প্রতিদিন শত শত মণ শিম বিক্রি হচ্ছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা গ্রামের সবজি চাষি আজিজ জানান, এ বছর তিনি নয় হাজার টাকা খরচ করে ৩৩ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তার পুঁজি উঠে গেছে। বিক্রিও হয়েছে বেশ ভালো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলম জানান, শিম প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। এর বিচিও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তাই এর চাহিদা ব্যাপক। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। শিম চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।