ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হলমার্ক জিএমের নারীসঙ্গ: জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১

হলমার্ক জিএমের নারীসঙ্গ: জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদকে কারাগারে নারী সঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগে ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি, রোববার সকালে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়।

এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো। তাদের কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কারাগার সূত্র জানায়, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধাকে কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২২ জানুয়ারি, শুক্রবার সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। তারা হলেন- কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাকটর মো. আবদুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান। তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় ২১ জানুয়ারি, বৃস্পতিবার অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লা ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এছাড়া একই ঘটনায় ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশের মাঝে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামাকাপড় পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই ওই নারীকে সেখানে দেখা যায়। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করে। তাকে সেখানে রিসিভ করেন খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। প্রায় ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি হলমার্কের জিএম তুষার আহমদকে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 
Electronic Paper