ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাফল্যের ১৯ বছরে পদার্পণ

আনোয়ার হাবিব কাজল
🕐 ১২:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১

সাফল্যের ১৯ বছরে পদার্পণ

ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি, সাফল্য আর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে ১৯ বছরে পদার্পণ করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিগত বছরগুলোতে বেশ বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হলেও করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিয়মিত ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এবারে দুদিনব্যাপী ভার্চুয়াল আয়োজন ছাড়া স্বশরীরে অংশগ্রহণ করার মতো নেই কোনো উৎসব অনুষ্ঠান। ভার্চুয়াল আয়োজনের প্রথম দিনে রয়েছে ‘লাল মাটি থেকে সবুজ ক্যাম্পাস’ শীর্ষক আলোচনা ও সকল ক্লাবের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানমালা। আর দ্বিতীয় দিনে রয়েছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও ডিআইইউ অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান।

শিক্ষায় বিদেশমুখিতা কমাতে এবং দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি মানুষের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ২০ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী মুখরিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে। মাত্র ক’বছরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে শিক্ষার গুণগত মান ও উৎকর্ষতায় ড্যাফোডিল উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক মূল্যায়িত ‘মানসম্পন্ন সেরা ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়। লাভ করেছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা। স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষার স্বীকৃতিস্বরূপ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সেরা টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউ এস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ও ইউ আই গ্রীন ম্যাট্রিকস্ র‌্যাংকিং-এ। এ ছাড়া শিক্ষার গুণগত মান, গবেষণা কর্ম, গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থান, বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান ও পরিবেশের জন্য অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক স্বীকৃতি। অর্জন করে নিয়েছে ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এওয়ার্ড, গ্লোবাল এমিটি এওয়ার্ড, এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিজনেস স্কুল এওয়ার্ড।

আশুলিয়ায় ১৫০ একর জায়গার ওপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সম্পূর্ণ আবাসিক সুবিধা সমন্বয়ে শিক্ষা কার্যক্রমও পুরোদমে চলছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪/৫ হলে প্রায় পাঁচ হাজার ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। করোনাকালে লকডাউনের কারণে যখন বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছিল তখন সকল প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে প্রথম দিন থেকেই সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ডিআইইউ শক্তিশালী টুলসটি ব্যবহার করছে তা হলো বিশ^বিদ্যালয়ের নিজস্ব লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) এবং ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম (বিএলসি)। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনলাইন প্লাটফর্মে ক্লাস নেওয়ার যথেষ্ট পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় লকডাউনের শুরু থেকেই এ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষায় পারদর্শিতার প্রমাণ রেখে চলেছে এবং শিক্ষার্থীরাও প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনাও শিক্ষকদের জন্য শতভাগ সহজতর হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৫০ জন পূর্ণ এবং ১৫০ জন খণ্ড কালীন দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পাঠদান করা হয়। ভর্তি প্রক্রিয়া, পাঠদান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকা-ই সফটওয়ার ও কম্পিউটারাইজেশনের আওতাভুক্ত।

যুগোপযোগী তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে এখানে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই রয়েছে রিভর সুবিধা। এখানে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আরও উৎসাহিত করার জন্য রেজাল্টের ওপর বৃত্তি প্রদান করা হয়। যুগোপযোগী বাস্তবভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। চাকরি বাজারের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দেশে প্রথম ও একমাত্র বিষয় মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং রিয়েল এস্টেট বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স চালু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি গবেষক ও লেখক প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান। বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিশ্বমানের শিক্ষা ও সুবিধাদির পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মপোযোগী করে গড়ে তুলতে এবং ইন্টার্ন ও চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি রয়েছে রোভার স্কাউট কার্যক্রম, ডিবেটিং, স্পোর্টস, সাইন্স, কম্পিউটার, বিজনেস, কালচারাল ক্লাবসহ ব্যায়ামাগার, মিডিয়া ল্যাব, সাইবার ক্যাফে ও ক্যান্টিন সুবিধা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করে আসছে।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ফ্রি অধ্যয়নের ব্যবস্থা রয়েছে। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো জিপিএ অর্জনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত বৃত্তি পেয়ে থাকে। এছাড়া সহোদর একাধিক ছাত্র-ছাত্রী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করলে ৪০% বৃত্তি দেওয়া হয়। সিজিপিএ ৩.৯ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ভর্তি সেশন : ভর্তি সেশন তিনটি। ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ), স্পিং (জানুয়ারি-এপ্রিল ) এবং সামার সেশন (মে-আগস্ট)। www.daffodilvarsity.edu.bd

 
Electronic Paper