ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রাণহীন রিমা চত্বর

আজিজুর রহমান
🕐 ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১

প্রাণহীন রিমা চত্বর

কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ! এ চিরচেনা এক বাংলা প্রবাদ। এবার শিক্ষার্থীদের জীবনে পৌষ মাস এলেও প্রাণহীন, আড্ডাবিহীন, শুকনো পাতায় ছেয়ে গেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমা চত্বর এবং সেই সঙ্গে হতাশার দেয়াল। নেই শিক্ষার্থীর আনাগোনা, নেই আড্ডাবাজি। অনেক দিন ধরে পরিষ্কারও করা হয়নি চত্বরটি। তাই নোংরা হয়ে আছে।

করোনার জন্য গত ১০ মাস ধরে বন্ধ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। এরপর থেকেই জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে চত্বরটি। হারিয়ে ফেলা জৌলুস শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ফিরে পেতে চায় এ চত্বর।

এক সড়ক দুর্ঘটনায় রিমা নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর তার স্মৃতিতে চত্বরটির নামকরণ করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সবার মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে রিমা চত্বর।

বছরের শুরুর শীতে চত্বরটি মুখরিত থাকত নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের আড্ডা-গল্প ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য অপেক্ষা বা বাস ধরতে না পারলে পরবর্তী বাস পর্যন্ত সময় সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন্য এই চত্বর হচ্ছে সবার প্রিয়।

রিমা চত্বরের পাশেই রয়েছে হতাশার দেয়াল। নামটা প্রথম শুনলে একটু হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। প্রতিটি সেমিস্টারের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় এই দেয়ালেই। কেউ ভালো, কেউ খারাপ আবার কেউ ভালোর মধ্যে খারাপ ফলাফল করেন। তাই এই দেয়াল একযোগে সবার কাছে পরিচিত হতাশার দেয়াল নামে। যে দেয়াল অন্যকে হতাশায় নিমজ্জিত করতো, সেই দেয়াল আজ নিজেই হতাশাগ্রস্ত। তবে হতাশা কাটিয়ে প্রাণ ফিরে পেতে চায় দেয়ালটি।

কবে খুলবে ক্যাম্পাস, কবে আসবে শিক্ষার্থী! তা ভেবেই দিন কেটে যাচ্ছে প্রাণহীন, আড্ডাবিহীন রিমা চত্বর ও হতাশার দেয়ালের।

 
Electronic Paper