ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চালের বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২১

চালের বাজারে স্বস্তি

চালের দাম আরও কমেছে। কমেছে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দামও। গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। স্বস্তি বিরাজ করছে সবজির বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। প্রতিকেজিতে দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে।

এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। দাম কমেছে সবজি ও পেঁয়াজের। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, ডিম, গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, মগবাজার কাঁচাবাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চিকন, মোটা ও মাঝারি এই তিন ধরনের চালের দামই কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় মোটা চালের দাম কমেছে কেজিতে ২ টাকা করে। এছাড়া চিকন ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে কমেছে ১ টাকা করে। খুচরা ব্যবসায়ীরা মোটা চাল বিক্রি করছেন ৪৩-৪৮ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই চাল ৪৫-৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা কেজি। মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়।

কাওরানবাজারের চাল ব্যবসায়ী আবু ইউসুফ বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দাম কমে আসছে। আমদানিকৃত চাল আসতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমতে পারে।
কাঁচাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, করলার ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়, ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। মিষ্টি কুমড়া আকারভেদে ২০-৩০ টাকায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকায়, ছোট মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২৫ টাকার মধ্যে। দাম কমেছে নতুন আলুর। কেজিতে ৫ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকায়, নাজিরশাইল ৬৫-৬৮ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০-১০০ টাকায়। খোলা ভোজ্যতেল লিটারে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়।

মগবাজারে খুচরা তেল বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোজ্যতেলের ব্যারেল প্রতি দাম কমেছে। এ কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে আবার খুচরা বাজারে লিটার প্রতি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা কমেছে।

কমেছে ডিমের দাম। ডজন প্রতি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকায়, ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি ২১০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

মুরগি বিক্রেতা মো. ফয়েজ বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা।

 
Electronic Paper