দেখতে চায় রাজভানু
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২১
পটুয়াখালী জেলার স্বেচ্ছাসেবী কে.এম.জাহিদ হোসেনের একটি পোস্ট কিছুদিন যাবত ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড তুষখালী গ্রামে বসবাসরত ৬৬ বছর বয়সী রাজভানুকে নিয়ে সহযোগীতার আবেদন জানিয়েছিলেন এই ব্যক্তি ১৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ফেসবুকের ব্যক্তিগত প্রোফাইলে। ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর অধিকাংশ মানুষের কাছে অসহায় রাজভানুর ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পরে।
মানবিক সহায়তার আবেদনে কে.এম.জাহিদ হোসেন উল্লেখ করেন, “পটুয়াখালী জেলাধীন পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের তুষখালী গ্রামে বসবাস করেন রাজভানু। ১ ছেলে সন্তান আছে কিন্তু সেও অসহায় ভিক্ষা করে করুন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। বৃদ্ধা রাজভানু যে ঘরে থাকেন তা জরাজীর্ণ। আজ আমি যখন তার কাছে গিয়েছিলাম রাজভানু খালা শুয়ে শুয়ে কেঁদে কেঁদে তার কষ্টের কথা বলেন। আমাকে দেখে এক পলকে তাঁকিয়ে থাকেন মুখের দিকে এবং কান্না করে বলেন আমার চিকিৎসা জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি। তখন তিনি বলেন, চোখের চিকিৎসা, একটা ঘর ও কিছু খাবার হলে খুব ভাল হত” (তথ্য সূত্রঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1365255143814671&id=100009905943066)
পরবর্তীতে রাজভানুর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার এক সন্তান ভিক্ষা করে জীবনযাপন করে এবং স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন। রাজভানুর চোখের সমস্যা দীর্ঘদিন যাবত। অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেননি। তার স্বামী মারা গেছে এক যুগ পূর্বে। স্বামী মারা যাবার পর বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছেন। সারাদিন ভিক্ষা করে যা পাচ্ছে তা দিয়ে একবেলা আহার গ্রহন করছেন তিনি। ঝুপড়ি ঘরে বসবাস তার। বৃষ্টির মৌসুমে চালা থেকে পানি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।
রাজভানুর চোখের চিকিৎসার ব্যাপারে পটুয়াখালী সিটিজেন হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন চন্দ্র বলেন, রাজভানুর চোখের সমস্যা জন্মগত নয়। উন্নত চিকিৎসা প্রদান করলে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল কাজী বলেন, রাজভানুকে বয়স্ক ভাতার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও রাজভানুকে খাদ্য সহায়তাসহ আর্থিক সকল সহায়তা করা হবে।
চিকিৎসার জন্য সরকারী তহবিল থেকে অথবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা কামনা করেছেন ছোটবিঘাই ইউপির এই জনপ্রতিনিধি।