ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাউবোর স্লুইচ গেট পলিতে ভরাট, অনিশ্চিত বোরো আবাদ

সিদ্দিকুর রহমান, কেশবপুর (যশোর)
🕐 ৪:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২১

পাউবোর স্লুইচ গেট পলিতে ভরাট, অনিশ্চিত বোরো আবাদ

যশোরের কেশবপুরে ২৭ বিল এলাকার ডায়ের খালের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮ ব্যান্ড স্লুইচ গেট পুনর্খননের তিন মাসের মধ্যেই পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামের তিনশ হেক্টর জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে, বোরো আবাদের লক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে ঘের মালিকরা ঘেরের পানি স্যালো মেশিন দিয়ে নিষ্কাশনের চেষ্টা করেও পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর গ্রামে ঢুকে শতাধিক বাড়ি তলিয়ে গেছে। অসময়ে ঘের মালিকদের সৃষ্ট এ বন্যায় সাধারণ মানুষকে দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এমএম আলমগীর কবির জানান, বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর দুই হাজার ১০০ একর জমির মধ্যে ডাঙা মাত্র ৫২৫ একর। অবশিষ্ট জলাকারে ১১৩টি ছোট-বড় মাছের ঘের রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ ঘের ওই এলাকার দীন মোহাম্মদ খিরু ও সেলিমুজ্জামান আসাদের। কৃষকের বোরো আবাদে ঘেরের পানি নিষ্কাশনের শর্তে তারা ঘেরে সেচ দিচ্ছেন। নিষ্কাশন সম্ভব না হলে চলতি বছর চারশ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত।

কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ বলেন, পলির হাত থেকে ২৭ বিলসহ বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রাম রক্ষায় ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। গত অক্টোবরে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড স্লুইচ গেটের পলি অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু হরিনদীর নাব্য না থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। হরি নদীর ভবদহ থেকে খর্নিয়া পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। ভবদহ প্রকল্পের মধ্যে নদী অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২৭ বিল এলাকার বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড স্লুইচ গেট দিয়ে হরি নদীতে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ২০১০ সালের পর হরি নদী নাব্যতা হারানোর কারণে ২৭ বিলসহ কেশবপুরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষে বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রামের অধিকাংশ ঘেরের পানি ঘের মালিকরা স্যালো মেশিন দিয়ে নিষ্কাশন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ডায়ের খাল পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।

পানি ঢুকে পড়ছে মানুষের বাড়িতে। পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, গত ২০/২৫ দিন আগে ঘেরের পানি নিষ্কাশন বন্ধে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু ঘের মলিকরা তা না মেনে সেচ অব্যাহত রেখেছেন।

 
Electronic Paper