ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজারহাটে ২ কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

সরকার অরুণ যদু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)
🕐 ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২১

রাজারহাটে ২ কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন বরাদ্দের প্রায় দুই কোটি টাকা নিম্ন মানের ও দায়সারা কাজের মাধ্যমে অধিকাংশ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিদ্যালয়গুলোতে বড় মেরামত, স্লিপ, রুটিন, পার্ক, ওয়াস ব্লক ও প্রাক-প্রাথমিক প্রকল্পে ওই টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছোলায়মান মিয়া বলেন, এটি স্কুল দেখার পর বিল প্রদান করা হয়েছে, এছাড়া বড় মেরামতের কাজে উপজেলা প্রকৌশলীর প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া বিল প্রদান করা হয়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী আবু তাহের মো. শফি জানান, বড় মেরামতের কাজগুলো সরেজমিন দেখে ও বুঝে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করছি। যারা কাজ ভালো করেনি তাদের এখনো প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়নি।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টিতে বড় মেরামত খাতে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হিসেবে ৬৩ লক্ষ টাকা, ১০টি বিদ্যালয়ে এক লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা হিসাবে পার্ক নির্মাণ খাতে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, রুটিন প্রকল্পে ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৬ হাজার টাকা হিসাবে ২৭ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা, ১২৩টি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা, স্লিপ প্রকল্পে ১৮টি বিদ্যালয় ৬৩ হাজার টাকা হিসাবে ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও ১০৫টি বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার হিসাবে ৪৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা এবং ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক প্রকল্পে একলক্ষ ৮৯ হাজার টাকা সর্বমোট এক কোটি ৭৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে।

করোনায় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার অজুহাতে প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিরা যথাসময়ে কাজ শুরু করতে টালবাহনা করেন। শেষ পর্যায়ে বিদ্যালয়গুলোতে বড় মেরামত প্রকল্পে উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও এর অধিকাংশ বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিকের ছোট একটি করে নিম্ন মানের শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ করে ও অন্য প্রকল্পের দায়সারা কাজ করেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা যোগসাজশের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ উঠে।

রাজমোহন প্রাথকিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার বলেন, বরাদ্দ কত আমার জানা নেই। জনস্বাস্থ্য বিভাগ এসব কাজ দেখছেন বলে দাবী করেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব কাজের সাথে জনস্বাস্থ্য বিভাগের কোন সম্পর্ক নেই।

 

 
Electronic Paper