ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পেঁপে চাষে সাফল্য

শরীফুল ইসলাম, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
🕐 ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২১

পেঁপে চাষে সাফল্য

সারি সারি পেঁপে গাছে ফলেছে অসংখ্য পেঁপে। গাছেই ধরেছে পাক। গাছপাকা পেঁপে কিনতে ছুটছেন ক্রেতারাও। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানেও সরবরাহ হচ্ছে এসব পেঁপে। পেঁপে চাষে এবারের সাফল্যে খুশি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই দৌলতপুরে। একবার চাষে কয়েক বছর সুফলভোগী হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন পেঁপেচাষে।

গরমের দিনে পেঁপের চাহিদা একটু বেশিই থাকে। গ্রামগঞ্জই নয়, রাজধানীর সড়কের পাশেও বিক্রি হয় পেঁপের জুস। তরকারি হিসেবেও চাহিদা রয়েছে কাঁচা পেঁপের। এবার গরমের পাশাপাশি শীতেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পেঁপের।

জানা গেছে, পেঁপের চাষে বিঘা প্রতি কৃষকদের খরচ হয় মাত্র ১৫-১৮ হাজার টাকা। আর তা থেকে একবার পেঁপে বিক্রয় করে লক্ষাধিক টাকারও বেশি করেছেন দৌলতপুরের কৃষকরা। করোনাকালীন দুঃসময়ে এমন লাভে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে তাদের।

উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, দুই বিঘা জমিতে পেঁপে চাষে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকার মতো। ইতিমধ্যে লক্ষাধিক টাকার পেঁপে বিক্রয় করেছেন তিনি। এখন প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার পেঁপে রয়েছে বাগানে।

কয়েকজন পেঁপের চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গড়ে ২০ টাকা কেজি বা ৮০০ টাকা মন হিসেবে বাগান থেকে পাইকাররা কিনে নেন পেঁপে। পরে ভোক্তারদের কাছে তা ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেন তারা।

দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, পেঁপে সব মৌসুমের সবজি ফল হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। আর পেঁপে চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ বীজ সরবরাহ, তদারকি ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 
Electronic Paper