মাস্ক ব্যবহারে অনীহা কেন
তাশরীফা মীম
🕐 ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০
২০১৬ সালের নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল মানুষ গড়ে ২৩ বার হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করে। বারবার স্পর্শ করার প্রবণতা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। শুধু যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে তা নয়, অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগ সংক্রমণের কারণও বটে।
প্রতিনিয়ত আমরা জেনে না জেনে হাতে অসংখ্য জীবাণু বহন করছি। এসব রোগজীবাণু শীতের আর্দ্রতায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে তার হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করতে পারে, অনেকেই হয়তো করোনাভাইরাস বহন করছে কিন্তু তাদের কোনো উপসর্গ নেই। আমরা হয়তো না বুঝেই কোনো দূরত্ব না মেনেই তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলাপচারিতায় মেতে উঠছি মুখোমুখি বসে কথা বলার সময় মুখ থেকে নির্গত থুথু বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। মাস্ক পরা থাকলে কিন্তু এমনটা হতো না। তাই, নিয়মিত হাত জীবাণুমুক্ত রাখার পাশাপাশি নিজেকে এবং চারপাশের মানুষদের সুরক্ষা দিতে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প দেখছেন না গবেষকরা।
গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই মাস্ক ব্যবহার জরুরি।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তান্ডব রুখতে মাস্ক ব্যবহার কতটা জরুরি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সামাজিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের সুফল তুলে ধরে আরও প্রচারণা চালাতে হবে। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডায় মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
তাশরীফা মীম: শিক্ষার্থী
[email protected]