ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ২:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি জানিয়েছেন, "প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ শেষে দক্ষিণাঞ্চলে অনুরুপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।"

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ছাতার নিচে কাজ করছি; আশা করছি সফল হব।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার পাবনায় রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট সার্জি লাস্টোকিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাস্মদ আকবর হুসেইন ও উপ প্রকল্প পরিচালক হাসিনুর রহমান।

ভাইস প্রসিডেন্ট প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি আশা করেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি রাশিয়া থেকে প্রেরিত প্রকল্পের ভারি যন্ত্রপাতি পরিবহনে সহযোগিতার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেন। আগামীতে নৌপরিবহন মন্ত্রণায়ের আরো সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে রাশিয়া থেকে ভারি যন্ত্রপাতি মোংলা হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌপথে সহজে পৌঁছানোর জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ৯৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা-চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ-পাকশী নৌরুট খনন করছে। ইতোমধ্যে ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে ২২টি জাহাজ মোংলা থেক পাকশী পৌঁছেছে। আরো তিনটি জাহাজ মোংলা থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পৌঁছবে।

আরো উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নং ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পথে এগিয়ে যায় এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ ক্লাবে পদার্পণ করে। আশা করা যায় ২০২৩ সালে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

 
Electronic Paper