ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইমিগ্রেশনে আটকা ৩০০ বাংলাদেশি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ না থাকায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছে ভারতফেরত তিন শতাধিক বাংলাদেশি। গতকাল শুক্রবার থেকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত অনেকে জানতে না পেরে সনদবিহীন অনেক যাত্রী ইমিগ্রেশনে আটকে পড়েছেন। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব যাত্রী। গতকাল ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এসব ভারতফেরত যাত্রীকে ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এসব যাত্রীর অধিকাংশই ভারতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। এর আগে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিজনেস ও মেডিকেল ভিসায় বিদেশি যাত্রীদের ভারত ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়।

আজ থেকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরতে লাগছে করোনা নেগেটিভ সনদ। আটকেপড়া বাংলাদেশি যাত্রী আবদুল কুদ্দুস জানান, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিবার নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। করোনা নেগেটিভ সনদ না থাকায় তাকে ঘরে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। নোমান নামের এক যাত্রী জানান, তিনি করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। ফিরতে আবার করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে তা জানতেন না। ভারতের ইমিগ্রেশন ছেড়ে দিলেও বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়া হয়েছে। আটকে পড়া সানোয়ারা খাতুন জানান, তিনি অসুস্থ, স্বামীকে নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। আগে থেকে করোনা নেগেটিভ সনদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানালে এ দুর্ভোগে পড়তে হতো না।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় দেশি-বিদেশি সকলের করোনা নেগেটিভ সনদ লেগেছিল। এখন দ্বিতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে ফেরার সময়ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করানো নেগেটিভ এ সনদ লাগবে। আজকে যেহেতু এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে, তাই অনেকে জানতে না পেরে সনদ সংগ্রহ করতে পারেনি। বিষয়টি ওপর মহলে কথা বলে বিবেচনা করার চেষ্টা চলছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আজ থেকে ভারতফেরত সব যাত্রীকে বাংলাদেশে আসতে হলে করোনা নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন হচ্ছে। যারা এ খবর জানতেন না, তারা আটকা পড়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। বিষয়টি তারা দেখছেন।

 
Electronic Paper