এদিকে কৃষি জমি বিনষ্ট, ভাটায় কাঠ পোড়ানো, নিয়মনীতি লঙ্ঘন ও পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার বিষয় উল্লেখ করে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও বন্ধ হয়নি এসব ইটভাটা। রিপোর্ট প্রকাশের পর পরিবেশ অধিদফতর ২০১৯ সালের এপ্রিলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে উচ্ছেদ শুরু হয়।
এ সময় যৌথবাহিনী লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৪টি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়। ইট তৈরির জন্য ভাটার মালিকরা প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতাত করে পদ্মার চর হতে মাটি কেটে আনছে এবং ম্যানেজ করে বৈধ ভাটা পরিচালনা করছে। কয়েকটি ইটভাটার মালিকদের নিকট হতে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় হয়। এসময় বলা হয়েছিল পর্যায়ক্রমে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। আবার নেপথ্য সহযোগিতায় আবারো চালু হয়ে যায় ভাটাগুলো।
ঈশ্বরদী শহর হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পদ্মানদীর তীরে রয়েছে ৫০টি অটোফিস এবং দুটি জিকজ্যাক (হাওয়া) ভাটা। অটোফিস ভাটা কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয়।
এসব ভাটা দিয়ে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়ে এলাকার পরিবেশ সবসময় দূষণযুক্ত করে রাখে। এলাকায় অবাধে নিধন হচ্ছে গাছপালা। বেশিরভাগ ভাটার মালিকরা ইট তৈরির জন্য অবৈধ উপায়ে পদ্মার চর হতে মাটি সংগ্রহ করে থাকে।
লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ বলেন, প্রথম দিকে এসব ভাটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিলেও এখন আর নবায়ন করে না। বর্তমানে এসব ভাটার ট্রেড লাইসেন্স বা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ছাড়পত্র নেই।
অপরদিকে, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা গড়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন বক্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত মঙ্গলবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও পিএম ইমরুল কায়েস।
ইউএনও পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, এসব ইটভাটায় মাটি, বালি সবকিছুই কিনতে হচ্ছে কাঠ দিয়ে। এতগুলো ভাটায় ইট পোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষণ এবং কৃষি ফসলের ওপর প্রভাব পড়ছে। সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স কিছুই দেয় না ভাটার মালিকরা।