ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জমির খতিয়ান-খাজনা রশিদ জালিয়াতির অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ৬:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় জমির খতিয়ান ও খাজনা রশিদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দলিল লেখক মো. সালাহ উদ্দিন ও জমির প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।

গত ১৯ আগস্ট নাসিরনগর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার মো. মিজাহারুল ইসলাম ওই জিডি করেন।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের দলিল লেখক মো. জসিম উদ্দিনের মাধ্যমে একটি বিনিময় দলিল (দলিল নম্বর- ৬১৯৩) রেজিস্ট্রি করা হয়।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর জসিমের করা একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) মারফত ওই দলিলের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে জানা যায় দলিলের প্রথম পক্ষ নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের মৃত আলী রাজার ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন ও দ্বিতীয় পক্ষ একই গ্রামের মৃত একেএম মঈন আলীর স্ত্রী মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন এবং দলিল লেখক সালাহ উদ্দিনের পরস্পর যোগসাজসে বিএস খতিয়ান এবং খাজনা রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য গোপন করে দলিল লেখক মো. জসিম উদ্দিনকে দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করান।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. মিজাহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের এক দলিল লেখক জালিয়াতির বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আমি থানা পুলিশকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে দলিল লেখক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্যই তিনি (সাব রেজিস্ট্রার) এই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এটার সাথে আমার বিন্দু পরিমাণ সম্পৃক্ততা নেই। 

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, সাব রেজিস্ট্রারের করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 
Electronic Paper