ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য হোক

খোলামত ডেস্ক
🕐 ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২০

একজন নারী প্রথম ঋতুবতী হওয়ার মানে হলো সে পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য উপযুক্ত। এটি প্রকৃতিগত বিষয়। তবে এটি নিয়ে খোলাখুলিভাবে খুব কম মেয়ে কথা বলতে পারে। বর্তমান সমাজে এটিকে মেয়েলি বিষয় হিসেবে গণ্য করে ‘অযাচিত লজ্জা’ নামক ট্যাগজুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে কথা বলতে চাইলে যে কেউ কোনো না কোনো খারাপ মন্তব্যের তোপে পড়ে চুপ হতে বাধ্য হয়। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৯৪.১ শতাংশ নারী এখনো মাসিক ব্যবস্থাপনার বাইরে। পিরিয়ডকালীন সময়টাতে তারা প্যাডের পরিবর্তে কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হয় যা অস্বাস্থ্যকর। যায় ফলে ইনফেকশনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আর এই ইনফেকশনের কারণে তলপেটের ব্যথা দেখা দেয়, জরায়ু সমস্যা, সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হ্রাসের ফলে অনেক সময় বন্ধ্যাত্বকে বরণ করে নিতে বাধ্য হয় অনেকে। স্যানিটারি ন্যাপকিন স্বাস্থ্যকর হলেও এর মূল্য সাধারণের ক্রয়সীমার বাইরে। এ কারণেই অনেক মেয়ে অস্বাস্থ্যকর কাপড়কে একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়। বর্তমানে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণে প্যাডের শোষণক্ষমতার ওপর নির্ভর করে অনেক কোম্পানি দাম নির্ধারণ করে। তাই মেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত সবাই যাতে সূলভ মূল্যে প্যাড ক্রয় করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া।

ইসরাত জাহান
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
[email protected]

 

আবাসিক এলাকায় জলাধার
আমাদের দেশে প্রায়শই বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা বা ত্রুটির কারণে অঞ্চলভিত্তিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। কিছুদিন আগেও সিলেটের কুমারগাঁও পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের কারণে সম্পূর্ণ সিলেট শহর এবং সুনামগঞ্জেরর কিছু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রায় ৩৩ ঘণ্টা পরে নগরীর এক-চতুর্থাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ মিলেছিল। তারপরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সিলেট শহরে প্রায় সবাই যে সমস্যায় পড়েছে সেটি হলো বাসাবাড়ির প্রয়োজনীয় পানির সঙ্কট। শুধু সিলেট শহরেই না অন্যান্য শহরাঞ্চলেও হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়। কারণ, শহরের বাসাবাড়িতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে তা সরবরাহ করা হয়। যার ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে গেলে তা হয়ে পড়ে অলীক বস্তু। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য শহরের আবাসিক এলাকায় জলাধার সৃষ্টি করতে হবে এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। বর্তমানে যেসব জলাধার রয়েছে সেগুলো নিয়মিত সংস্কার করতে হবে। এতে করে সঙ্কটকালে পানির সমস্যা হবে।

নুর মোহাম্মদ শাওন
শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]


পাখি শিকার বন্ধ করুন
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ভেসে শীত চলে এসেছে। সেই সঙ্গে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি। শীতকালে সাইবেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর তুষারপাত হয়। এসময় এসব অঞ্চলে পাখির টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তীব্র খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়। ফলে পাখিরা প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশসহ নাতিশীতোষ্ণ দেশ বা অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহণ করে। বিশেষ করে অক্টোবরের শেষ এবং নভেম্বরের শুরুতে এসব পাখিরা আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। বিল-ঝিলগুলো পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাংগাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হাড়গিলা, বালিহাঁস, সরালি কাস্তে, হুরহুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি বাংলাদেশে আসে। কিছু অসাধু মানুষ প্রতিবছর এ অতিথি পাখি শিকার করে থাকে। বন্দুক, বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার শুরু করে। অনেকে এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। বিশেষ করে ভোর এবং রাতের বেলা পাখি শিকার করা হয়। মানুষের বিরূপ আচরণের শিকার হয়ে সপ্তদশ শতক থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০ প্রজাতির পাখি চিরতরে হারিয়ে গেছে। তাই অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। ১৯৭৪ সালের বণ্যপ্রাণী রক্ষা আইন এবং ২০১২ সালের বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।

সুকান্ত দাস
পরিসংখ্যান বিভাগ, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]

শীতে করোনা সচেতনতা বাড়ুক
দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এল। অন্যান্য বছর শীতকাল কতই না মধুর হয়। কিন্তু এ বছর শীতকাল হতে পারে খুবই ভয়ানক সময়। এর কারণ কারও অজানা নয়। সম্প্রতি আমরা এমনকি পুরো বিশ^ কেবল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারো সেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। আবারো আসছে করোনার দ্বিতীয় জোয়ার। বিশে^র অনেক দেশেই আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমাদের দেশেও গত কয়েক দিনে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কারণ সময়টা যে শীতকাল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য উপযোগী তাপমাত্রা এখন রয়েছে। তাই এখন আমাদের সচেতনতাই পারে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা করতে। আমাদের দেশের মানুষ এমনিতেই অসচেতন। গ্রামাঞ্চলের মানুষ আরও অসচেতন।

ইসমাইল হাসান
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

 

 
Electronic Paper