সবচেয়ে খাটো মানবজাতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২০
ক্ষুদ্র যে কোনো বস্তু বোঝাতে পিগমি শব্দটি ব্যবহৃত হয়। পিগমি শব্দটি এসেছে গ্রিক থেকে যার অর্থ কনুই পর্যন্ত। গড়ে সাড়ে চার ফুট উচ্চতার এই পিগমি গোত্র নিজেও জানে না যে বাইরের দুনিয়ার মানুষ তাদের এই নামে ডাকে। এমনকি তারা নিজেরাও পিগমি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়। তারা নিজেদেরকে ‘বা’ নামে সম্বোধন করে। তাদের ভাষায় এর অর্থ মানুষ। কঙ্গো, ক্যামেরুন এবং গ্যাবনের জঙ্গলে পিগমিদের বেশ কয়েকটি উপজাতি বাস করে। এছাড়া ফিলিপাইন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনিতে কিছু পিগমীর বসবাস রয়েছে।
বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে জীবিত পিগমি মানবের সংখ্যা এক লাখেরও কম। তাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মুগুতি প্রজাতির পিগমি শুধুমাত্র কঙ্গোর জঙ্গলেই বাস করে। পিগমিরা সাধারণত হিংস্র নয়। যুদ্ধ শব্দটি তাদের অভিধানেই নেই। এমনকি তারা নিজেদের মধ্যে কখনো ঝগড়া বিবাদেও লিপ্ত হয় না। প্রার্থনা, আনন্দ-বেদনা ও দুঃখ এসব কিছুর প্রকাশ তারা বিভিন্ন নাচের মাধ্যমে করে। জীবনে প্রত্যেকটি স্মরণীয় মুহুর্ত তারা ঢোল বাদ্য ও নাচের সঙ্গে বরণ করে নেয়।
বৈচিত্র্যময় গান ও নাচ পিগমি সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রায় প্রতিটি উৎসব এবং শিকারের আগে এবং পরে তারা গান ও নৃত্য করে। নানাবিধ ঢোলের বিচিত্র তাল এবং বিচিত্র সুরের সঙ্গীতে আয়োজিত এই নাচে শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই অংশগ্রহণ করে। পিগমিরা অতিমাত্রায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন। প্রতিটি দলে একজন ওঝার নেতৃত্ব পিগমিরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে। পিগমীরা এমন সব কাজ এড়িয়ে চলে যেসকল কাজে দেবতাদের অসন্তুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।