ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনা রোধে মাস্ক জরুরি

সম্পাদকীয়
🕐 ১১:০২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে নাজেহাল পুরো বিশ্ব। করোনার সংক্রমণ কিছুদিন কমে আসলেও আমাদের দেশে শীতের শুরুতে আবার বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই মৃত্যু ও আক্রান্তদের নামের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে এবং ঘরের বাইরে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনও তৎপর রয়েছে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। তারপরও অনেক মানুষ মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা মানছেন না। মাস্ক ছাড়া বাইরে না যাওয়ার জন্য নানা মাধ্যমে প্রচারেও কাজ হচ্ছে না।

সরকারের নির্দেশনা নগর বা গ্রামে কেউই মানছেন না। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এ পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মাস্ক ছাড়া এলে কাউকে সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলোতে সেবা দেওয়া হবে না। রাজধানী ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই-তিনদিনের মধ্যেই অভিযান শুরু করবে। অতি সংক্রামক এ ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যু ডেকে আনলেও এখনো অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। করোনা মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। স্বাস্থ্য নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

বাস টার্মিনালে কোনোভাবেই ভিড় করা যাবে না। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীরা গাড়ির জন্য লাইনে দাঁড়াবেন এবং টিকিট কাটবেন। স্টেশনে পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। বাসের সব সিটে যাত্রী নেওয়া যাবে না। ২৫-৩০ শতাংশ সিট খালি রাখতে হবে। পরিবারের সদস্য হলে পাশের সিটে বসানো যাবে অন্যথায় নয়। যাত্রী, চালক, সহকারী, কাউন্টারের কর্মী সবার জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। ট্রিপের শুরুতে এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ির অভ্যন্তর ভাগসহ পুরো গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের হাত ব্যাগ, মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে।

মূলত মাস্ক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সহায়তা করে। জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি দেশে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। করোনা ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম পথ হলো শ্বাসনালি থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষুদ্র জলকণা (ড্রপলেট), যা মানুষ কথা বলা, গান গাওয়া, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় বেরিয়ে আসে। জানা যায় যে, করোনাভাইরাস এমন মানুষের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে যাদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এর অর্থ হচ্ছে, কিছু মানুষ সংক্রমিত হতে পারে, এমনকি কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই। জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে অন্যদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সবসময় সম্ভব নয়, যে কারণে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার জন্য মাস্ক বিশেষ করে কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। করোনা মহামারী ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper