গুপ্তধনের দ্বীপে
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০
ট্রেজার আইল্যান্ড। যেখানে? রয়েছে অমূল্য বিপুল গুপ্তধন। প্রশান্ত মহাসাগরের কোলে ট্রেজার আইল্যান্ড ১৮৩২ সাল থেকে কোস্টারিকার অংশ। কোস্টারিকার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে বাস্তবের এই গুপ্তধন-দ্বীপকে ঢেকে আছে ঘন সবুজ ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্যে।
৩০০ ফিটের খাড়াই পাহাড়, কালো বালির সৈকত, অসংখ্য নদী আর ঝরনায় সাজানো এই রহস্যময় দ্বীপ দেখেই নাকি মাইকেল ক্রিকটনের মনে ‘জুরাসিক পার্ক’-এর প্লট এসেছিল। প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী অবশ্য নেই। দ্বীপের বাসিন্দা ৪০০ রকমের কীটপতঙ্গ এবং ৯০ রকমের পাখির প্রজাতি।
আর আছে বাঘ এবং সমুদ্রে হাতুড়ি-মাথা হাঙর। তবে গুপ্তধন-শিকারীদের কিন্তু এই বিপুল প্রাণী বৈচিত্র্য নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বরং, তাদের বিশ্বাস, রহস্যময় এই দ্বীপে লুকোনো আছে বিলিয়ন ডলারের সম্পদ। রটনার সূত্রপাত ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে।
লাতিন যুক্তরাষ্ট্র দখলকারী স্প্যানিশ শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পেরুর স্থানীয় বাসিন্দারা। স্পেন অধিকৃত লিমা আক্রমণের পরিকল্পনা করেন আর্জেন্তিনীয় জেনারেল জোসে সান দে মার্টিন। যুদ্ধের আশঙ্কায় তৎকালীন স্প্যানিশ গভর্নর ঠিক করেন সমস্ত সম্পদ লুকিয়ে ফেলা হবে। যাতে যুদ্ধে কোনো সম্পদহানি না হয়।
স্পেনীয় শাসকরা তখন ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন উইলিয়াম থম্পসনের শরণাপন্ন হন। তার জাহাজ ‘মেরি ডিয়ার’-এ সওয়ার হয়ে গুপ্তধন পাড়ি দিল। সোনা-রুপোর মুদ্রা, রাশি রাশি হিরে এবং প্রমাণ আকারের ভার্জিন মেরির মূর্তি নিয়ে সে জাহাজ চলল অজানা গন্তব্যে।
শোনা যায়, ক্যাপ্টেন থম্পসন ও তার সঙ্গীরা জাহাজের বাকি সবাইকে হত্যা করে নিয়ে জাহাজ নিয়ে চলে যান কোকোজ দ্বীপে। তাদের ধাওয়া করে আসা স্পেনীয় যুদ্ধজাহাজ পাল্টা আক্রমণ চালায়।
বন্দি করা জাহাজের প্রায় সব ষড়যন্ত্রীকেই। কিন্তু সন্ধান মেলেনি বিপুল গুপ্তধনের। সেই সঙ্গে নিরুদ্দেশ হয়ে যান ক্যাপ্টেন থম্পসন এবং তার এক সঙ্গী। দ্বীপের কোথায় তারা সেই সম্পত্তি লুকিয়ে রাখেন, জানা যায়নি। তাদের রেখে যাওয়া সম্পদের নাম হয় লোকমুখে ‘ট্রেজার অব লিমা’।