ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রোবোটিক্স অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০১, ২০২০

'ফার্স্ট গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে' ১৭৪টি দেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম বাংলাদেশ ১১৭ পয়েন্ট পেয়ে। এটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা। এই করোনা সংকটময় মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দেশের জন্য সুখবর এনে দিয়েছেন এই শিক্ষার্থীরা। 

তথ্যটি নিশ্চিত করে আজ ১ নভেম্বর, রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, ৩১ অক্টোবর, শনিবার রাত ৯টার দিকে প্রতিযোগিতাটির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয় এবং সেখানে ১১৭ পয়েন্ট পেয়ে টিম বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে চিলি ও আলজেরিয়া এবং ভারত হয়েছে পঞ্চম।

গত ১ জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলে জানিয়ে তিনি বলেন, উক্ত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধাপ ও বিচিত্র সব চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়ে কেবল এক সপ্তাহ ছাড়া পুরো সময়জুড়েই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল টিম বাংলাদেশ। ১৭৪টি দেশের মধ্যে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা অনেক বড় অর্জন।

এই অর্জন তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, আমাদের তরুণরা গণিত অলিম্পিয়াড, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ভালো করছে। সেই ধারাবাহিকতায় ফার্স্ট গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেও চ্যাম্পিয়ন হলো।

প্রসঙ্গত, ফার্স্ট গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (এসটিইএম বা স্টেম) এই চারটি বিষয় প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে। এতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে থাকেন। এটি রোবোটিক্সের অলিম্পিক হিসেবেও পরিচিত।

২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতাটির প্রথম আসর বসে, ২০১৮ সালে মেক্সিকোতে দ্বিতীয় আসর ও ২০১৯ সালে তৃতীয় আসর বসে দুবাইয়ে। তৃতীয় আয়োজনে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে ছিল। ভার্চুয়ালি আয়োজিত এবারের চতুর্থ আয়োজনে সর্বোচ্চ সাফল্য পেল টিম বাংলাদেশ।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন— ম্যানগ্রোভ স্কুলের শিক্ষার্থী সুজয় মাহমুদ (১৭), স্যার জন উইলসন স্কুলের শিক্ষার্থী রাজীন আলী (১৮), ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুলের শিক্ষার্থী মাহি জারিফ (১৬), ডিপিএস এসটিএস স্কুলের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সেমন্তো (১৬), বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আবরার জাওয়াদ (১৫) ও আয়মান রহমান (১৫), ধানমন্ডি টিউটোরিয়ালের শিক্ষার্থী বিয়াঙ্কা হাসান (১৯), সানবিম স্কুল থেকে জাহরা চৌধুরী (১৪), সাউথ ব্রিজ স্কুল থেকে আরিবাহ আনোয়ার (১৪), মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ফাইরুজ হাফিজ ফারিন (১৮)। দলটির প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন শামস জাবের। এ ছাড়াও, প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা হিসেবে শোয়েব মির্জা ও সহকারী পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন ফারদিন অনন্ত।

 
Electronic Paper