ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্বচ্ছতা ফিরুক রাজনীতিতে

সম্পাদকীয়
🕐 ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২০

রাজনীতিতে পেশীশক্তি প্রদর্শনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে যারা দলীয় বিভিন্ন পদ-পদবি সরাসরি ব্যবহার করেন এবং যাদের নিকটাত্মীয়রা সরকার-ঘনিষ্ঠ ও সরকারি দলের অংশ। সম্প্রতি নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তিনি কাউন্সিলর পদ হারিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইরফানের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনও করেছে পুলিশ। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-১ শাখার উপসচিব আ ন ম ফয়জুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফান সেলিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

গত মঙ্গলবার ইরফান সেলিমের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে গতকাল এ আবেদনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। একই ঘটনায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে দিপুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগের একটি দল। এরপর দুপুরে তাকে আদালতে উপস্থাপন করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক আশফাক রাজীব হায়দার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আসামি দিপুর তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে হওয়া মারধরের মামলাটির তদন্ত ‘প্রভাবমুক্ত’ভাবে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, নিঃসন্দেহে এ মামলার তদন্ত প্রভাবমুক্তভাবে করা হবে। এখানে কেউ প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও করবে না। একজন অপরাধীকে যেভাবে বিচারের আওতায় আনা দরকার, সেভাবে তাকেও আনা হবে। ইরফান সেলিম ও তার সহযোগী এমডি জাহিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয় গত মঙ্গলবার। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী এমডি জাহিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি করে মামলা হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক আইনে র‌্যাব বাদী হয়ে মামলাগুলো করে।

গত সোমবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের একটি বহুতল ভবনের ছাদের একটি কক্ষ থেকে হাতকড়া, ছোরাসহ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। র‌্যাব বলছে, এ কক্ষকে ‘নির্যাতন কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করতেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। সেখানে লাইসেন্সহীন দুটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়ার কথা জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা। প্রভাবশালী এবং তাদের সন্তানরাও যে আইনের ঊর্ধ্বে নন চলমান এ মামলায় কঠোর হুঁশিয়ারিই দিল। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগ প্রতিষ্ঠায় এমনই ‘নিরপেক্ষ’ থাকবেন বলেই প্রত্যাশা।স্বচ্ছতা ফিরুক রাজনীতিতে পেশীশক্তি প্রদর্শনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে যারা দলীয় বিভিন্ন পদ-পদবি সরাসরি ব্যবহার করেন এবং যাদের নিকটাত্মীয়রা সরকার-ঘনিষ্ঠ ও সরকারি দলের অংশ। সম্প্রতি নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তিনি কাউন্সিলর পদ হারিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইরফানের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনও করেছে পুলিশ। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-১ শাখার উপসচিব আ ন ম ফয়জুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফান সেলিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

গত মঙ্গলবার ইরফান সেলিমের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে গতকাল এ আবেদনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। একই ঘটনায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে দিপুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগের একটি দল। এরপর দুপুরে তাকে আদালতে উপস্থাপন করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক আশফাক রাজীব হায়দার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আসামি দিপুর তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে হওয়া মারধরের মামলাটির তদন্ত ‘প্রভাবমুক্ত’ভাবে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, নিঃসন্দেহে এ মামলার তদন্ত প্রভাবমুক্তভাবে করা হবে। এখানে কেউ প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও করবে না। একজন অপরাধীকে যেভাবে বিচারের আওতায় আনা দরকার, সেভাবে তাকেও আনা হবে। ইরফান সেলিম ও তার সহযোগী এমডি জাহিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয় গত মঙ্গলবার। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী এমডি জাহিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি করে মামলা হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক আইনে র‌্যাব বাদী হয়ে মামলাগুলো করে।

গত সোমবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের একটি বহুতল ভবনের ছাদের একটি কক্ষ থেকে হাতকড়া, ছোরাসহ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। র‌্যাব বলছে, এ কক্ষকে ‘নির্যাতন কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করতেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। সেখানে লাইসেন্সহীন দুটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়ার কথা জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা। প্রভাবশালী এবং তাদের সন্তানরাও যে আইনের ঊর্ধ্বে নন চলমান এ মামলায় কঠোর হুঁশিয়ারিই দিল। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগ প্রতিষ্ঠায় এমনই ‘নিরপেক্ষ’ থাকবেন বলেই প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper