বেহাল চরপাথরঘাটা ফেরিঘাট দুর্ভোগ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২০
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে অবস্থিত চরপাথরঘাটা এলাকার পুরাতন ফেরিঘাটের অবস্থা বেহাল। ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী পারাপারের সিঁড়ি। হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘনা। সিঁড়ি সংস্কারের পর বেড়েছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। দিনের বেলায় জোয়ারের পানি থাকায় সাম্পানে উঠতে ততটা কষ্টকর না হলেও ভাটার সময় পাহাড় সমান মনে হয় সিঁড়িকে। তাতে চড়তে গিয়ে বাধছে বিপত্তি। বিশেষ করে নারী শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর।
চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ এই ফেরিঘাট দিয়ে নদী পার হন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, গত কয়েক সপ্তাহে আগে ঘাটের সিঁড়ি ভেঙে যাওয়ায় যাত্রী সেবার জন্য নতুন করে সিঁড়ি সংস্কার করেছেন। যদিও এই সিঁড়ি কোনো কাজের না বলে দাবি সাধারণ যাত্রীদের। তারা বলছেন, ৩০/৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে যে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে তা ভাটার সময় দুর্ঘটনার কারণে পরিণত হয়েছে। দুই সিঁড়ির মাঝখানে বড় পল্টন দরকার থাকলেও তা করা হয়নি। এতে করে ভাটার সময় বয়স্ক মানুষ কিংবা মহিলারা ঘাট পারাপারে নানা অসুবিধায় পড়ছেন। তাদের অভিযোগ, বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতির লোকজন দেখেও না দেখার ভান করছেন। ঘাট পারাপারে সাম্পানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও মালিকদের মুনাফার লোভ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।
অন্যদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য যাত্রী পারাপারে নতুন করে অভয়মিত্রঘাট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু অপরপ্রান্তে পুরাতন ব্রিজঘাটে ভাটার সময় সাম্পান ভিড়ার সুযোগ ক্ষীণ হয়ে রয়েছে। ভাটায় মাঝিদের অসহায় আত্মসমর্পণের চিত্রই বলে দেয়, কর্ণফুলীর এ নৌ রুটে চলাচল করার বেহাল দশা।
নিয়মিত ঘাট পারাপারকারী চাকরিজীবী মো. সেলিম খাঁন বলেন, সাম্পানে ওঠার এই ঘাট খুবই ভয়াবহ। রাতে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ভাটার সময় তো বলার অপেক্ষা রাখে না। অপর এক যাত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদীতে এলোমেলো ভাবে নোঙর করা জাহাজের মাঝখান দিয়ে যেতে হয় তাদের। কোন কারণে যান্ত্রিক সমস্যা হলেই মহাবিপদ। অথচ সিটি করপোরেশন, বন্দর কতৃপক্ষ কিংবা যাত্রী কল্যাণ সমিতি নিরাপত্তার কথাটি বিবেচনায় আনছে না। সন্ধ্যার পর কোন ফ্ল্যাশ লাইটেরও ব্যবস্থা নেই এখানে।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী বলেন, যাত্রীদের উঠানামার সুবিধার জন্য ঘাটের সিঁড়ি সংস্কার করা হয়েছে। নিচের অংশ এখনো কাজ করা হয়নি। ফলে যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে তা সত্য। তবে শিগগিরই সিঁড়ির নিচের অংশও সংস্কার করে যাত্রীদের সেবার উপযোগী করে তৈরি করা হবে।