ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

খোলামত ডেস্ক
🕐 ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২০

রাজধানীসহ দেশের প্রত্যেকটি জেলার প্রধান সড়কগুলোতে সাধারণ জনগণকে সর্বদাই দেখা যায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে। জেব্রাক্রসিং থাকলেও অধিকাংশ লোকই জেব্রাক্রসিং বাদ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। স্টপলাইটগুলো লাগানো আছে নামমাত্র। এর বেশিরভাগ লাইটই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোনোটার লালবাতি জ্বলে না তো কোনোটার সবুজ বাতি। আর কর্মরত ট্রাফিক পুলিশকে পাওয়া যায় রাস্তার পাশের ঝুপড়িতে। কেউই কারও দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। না সাধারণ জনগণ, না ট্রাফিক পুলিশ! যার ফলে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে এবং ঘটছেও তাই।

দ্রুত এ অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনাকে নির্মূল করা প্রয়োজন। সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। প্রয়োজনে দ-নীয় শাস্তির বিধান করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ যাতে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে সে বিষয়ে তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিতে হবে। সেই সঙ্গে স্টপলাইটগুলোকে মেরামত বা পুনঃস্থাপন করতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।

মুন্সী মুহাম্মদ জুয়েল
ডিপার্টমেন্ট অব ফিলোসফি, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম

প্রধান সড়ক বেহাল
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা প্রধান সড়কগুলোর মধ্যে চৌরাস্তা টু পানপট্টি সড়কটি অন্যতম। প্রায় ১০ কিলোামিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে উপজেলার ২টি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তি রাঙ্গাবালী উপজেলার জনগণ যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটির অবস্থা এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছে, সামান্য মোটরসাইকেল চালাতেও হিমশিম খাচ্ছে চালকরা। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। তাই অতি দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি ভুক্তভোগীদের।

নিয়ামুর রশিদ শিহাব
গলাচিপা, পটুয়াখালী

আমরা বাঁচতে চাই
আমরা যেন আজ দম বন্ধ হওয়া অন্ধকারে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে বসবাস করছি। এমনভাবে আমাদেরই স্বাধীন সার্বভৌম দেশে বসবাস করছি যেন কোনো দণ্ডিত আসামি। যেন আমাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু হারিয়ে ফেলেছি। আমরা কি সত্যি স্বাধীনতা পেয়েছি? যেখানে মুক্তচিন্তা, বাকস্বাধীনতা, স্বাধীন ও সৎ চিন্তা করার অধিকার নেই। যেখানে নেই আমাদের সবার, গরিব, দুঃখী, মেহনতি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার ব্যবস্থা এমনকি আমাদের সামান্য নিরাপত্তার ব্যবস্থাটুকুও নেই। এদেশের সব দিকটায় যেন রক্তপিপাসু, আসক্ত হায়েনাদের বাসস্থান। আর আমাদের মতো শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষদের জন্য এক ভয়ঙ্কর বন্দিশিবির।

আমরা কি এমনভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম? প্রতিদিন সকালে কাগজে চোখ রাখতেই ভয়ে আঁতকে উঠতে হয়। সারা কাগজে নানা রকম ভয়াবহ খবর। যা দেখলে দেশের খবর রাখার যে মনমানসিকতা তা সম্পূর্ণ উবে যায়। প্রতিদিনের খবরের কাগজে ধর্ষণ বিষয়টি থাকবেই। ধর্ষণ যেন এদেশে রঙ্গমঞ্চের লীলাখেলা। নারী দেখলেই যেন বিকৃত মস্তিষ্কের হায়েনার দল ঝাঁপিয়ে পড়ে তার বিকৃত মস্তিষ্কের প্রমাণ দিতে। এদেশে ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়া হয় না, তারা যেন আইনের ঊর্ধ্বে। বরং এদেশে ধর্ষিতাকে জঘন্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হয় সে ধর্ষিতা! ভাবতেই অবাক লাগে। বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারির দিকে। দুর্নীতি যেন লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। এদেশে সম্পদ লুটেপুটে খাওয়ার প্রতিযোগিতা হয়। এদেশে মিথ্যাচার, অশিক্ষা, দালালি, খুন, সাম্প্রদায়িকতা, চৌর্যবৃত্তি, চরিত্রহীনতা, মূর্খতা, সুবিধাবাদ, বর্বরতা, মানবাধিকারহীনতা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, সংস্কৃতিহীনতা, হত্যাকা- এসবে ভরে আছে। এখানে আমাদের বেঁচে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। উল্লিখিত বিষয়গুলো যথাযোগ্য বিবেচনায় নিয়ে, মূল্যবোধ জাগ্রত করে, সঠিক আইন প্রণয়ন ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করে আমাদের বাঁচার মতো পরিবেশ তৈরি করা একান্ত জরুরি। আমরা বাঁচার মতো পরিবেশ চাই। বিভীষিকাময় পরিবেশের পরিবর্তে আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পরিবেশ চাই।

হাবিবা খাতুন
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যৌতুকের সেকাল-একাল
যৌতুকপ্রথা একটা সমাজের জন্য অভিশাপস্বরূপ। একটা সময় ছিল যখন ঘরে ঘরে নারী নির্যাতিত হতো শুধু যৌতুকের জন্য। বরপক্ষ যৌতুক হিসেবে টাকাপয়সা, মোটরসাইকেল ইত্যাদি সরাসরি চাইত। বিয়ের কথাবার্তা চলার সময়ই বরপক্ষ কিংবা ঘটক নিজেই ছেলের আবদারের কথা জানাতেন কনেপক্ষকে। কখনো সেই আবদার পূরণ হতো আবার কখনো পূরণ না হলে বলির শিকার হতে হতো কনেকে। বিয়ের পর বরপক্ষের কোনো আবদার পূরণ না হলে কনেকে কী ধরনের অত্যাচারের শিকার হতে হতো তা আমাদের সবার জানা। ঞযব উড়ৎিু চৎড়যরনরঃরড়হ অপঃ, ১৯৮০ আইনের মাধ্যমে বিধান করা হয়েছে যে কোনো ব্যক্তি যদি যৌতুক গ্রহণ করে তবে তাকে জরিমানার সঙ্গে সর্বনিম্ন ১ বছর ও সর্বোচ্চ ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ২০১৮ সালে আইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঙ্কের জরিমানা নির্ধারণ করা হয়। এতসব শাস্তির বিধান যৌতুক গ্রহণকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। বলুন তো, এ শাস্তি কি যৌতুক গ্রহণকারীদের দমিয়ে রাখতে পেরেছে? যৌতুকের লেনদেন কি বন্ধ হয়েছে? যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া দ-নীয় অপরাধ হওয়ার কারণে অনেকেই এখন আর সরাসরি ঘটকের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছে যৌতুকের আবদার জানান না। যৌতুকের ভার্সন এখন বদলে গেছে। বিয়ের আগে যৌতুক না চাইলেও বরপক্ষ কনেপক্ষ থেকে টেলিভিশন, ফ্রিজ, সোফা কিংবা মোটরসাইকেল ইত্যাদি প্রাপ্তির আশায় থাকেন।

মাহমুদা আক্তার
দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 
Electronic Paper