প্রশংসায় ভাসছেন পেসাররা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২০
বিসিবি আয়োজিত তিন দলের প্রেসিডেন্টস কাপ এখন সমাপ্তির পথে। রবিন লিগ খেলা শেষে অপেক্ষা ফাইনালের। আগামীকাল রোববার প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল। শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ। খেলাটি বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে।
তার আগে ক্রিকেটাঙ্গনে চলছে গত ম্যাচগুলোর বিচার বিশ্লেষণ। রবিন লিগ প্রতিটি দল পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে দুটি করে ম্যাচ। ফাইনাল ম্যাচের আগে তাই চলছে ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের গত ছয়টি ম্যাচের চুলছেরা বিশ্লেষণ।
টুর্নামেন্টে এখনো এগিয়ে আছেন বোলাররা। বিশেষ করে পেসাররা। তাদের নিয়ে বইছে উচ্চাশা। সাইফউদ্দীন, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদরা বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন। সাইফউদ্দীন বল হাতে এ পর্যন্ত দখল করেছেন ১২টি উইকেট। রুবেল পেয়েছেন তার চেয়ে দুই উইকেট কম, দশটি উইকেট। তাসকিন অবশ্য আরেকটু কম, ৭ উইকেট পেয়েছেন। তবে তাসকিন কম উইকেট পেলেও সঠিক সময় সঠিক কাজটি করে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। দলকে জিতিয়েছেন, টেনে তুলেছেন ফাইনালে।
মোট কথা প্রেসিডেন্টস কাপে বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল চোখেপড়ার মতো। এই টুর্নামেন্টে কোন দলের টপ-অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের দাঁড়াতেই দেয়নি তারা।
বিশেষ করে নতুন বলে পেসাররা খুবই ভালো বল করেছেন। শীর্ষ উইকেট শিকারিদের তালিকায় প্রথম পাঁচজনের সবাই পেসার। আর পেসারদের এই উন্নতিটাকে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক দিক বলে মনে করেন জাতীয় দলে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
সেটা বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানিয়েও দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ। তিনি পেসারদের বেশ প্রশংসা করেন। তার মতে, বিশ্রামের পর ক্রিকেটে ফিরলে, ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলাররা বেশি সুবিধা পায় তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা গত সাত-আট মাসে যা চেয়েছিলাম তা হলো কিছু ভালো তরুণ ফাস্ট বোলার সন্ধান করার চেষ্টা করা। আমরা শেষ পর্যন্ত ভালো বোলারদের একটা গ্রুপ পেয়েছি, যাদের মধ্যে ভালো একটা প্রতিযোগিতা হতে পারে। তাসকিন, ফিজ (মোস্তাফিজ), আল-আমিন, হাসান মাহমুদ, খালেদ, শরিফুলের দিকে তাকালে দেখা যাবে সবাই ভালো করেছে। ছয়-সাতজন ফাস্ট বোলার আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে পারে। কোনো দল যদি ২৮০ পায় তবে আমরা বলি বোলাররা খারাপ বল করেছে। আবার কোনো দল যদি ১৮০ করে আমরা বলি ব্যাটসম্যানরা খারাপ করেছে। আমি মনে করি, গত দুই সপ্তাহে সত্যিই কিছু ভালো বোলিং হয়েছে যেটা আমার কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে। আমি মনে করি, দীর্ঘ বিরতির পর খেলা শুরু করলে ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলারদের ভালো করাটা সবসময় সহজ।’
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি পেসারদের ধারাবাহিক সাফল্য। তাসকিনের প্রশংসা করতে গিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় জিনিস তাসকিন তার কাজের ধরন বদলেছে। অনেক পরিশ্রম করছে। শারীরিকভাবে খুব ভালো অবস্থায় আছে। এক কিংবা দুই স্পেলের চেয়ে বেশি বোলিং করতে পারে। পরের স্পেলগুলোয় ভালো গতিতে বোলিং করছে। এটা আমাদের জন্য তৃপ্তিদায়ক। আমরা এটা খুব নিশ্চিত করতে চাইছি যে আমাদের পেসাররা যেন সকাল ১০টা, বিকেল ৫টায় ভালো গতিতে বোলিং করতে পারে।’
কোচ আর বলেন, ‘তাসকিনের গড়ন দেখুন, রুবেল কেমন করছে দেখুন। খালেদ বড় চোট থেকে ফিরেছে। ওরা ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে। যা দেখছি তাতে রোমাঞ্চিত। প্রতিটি আন্তর্জাতিক দলে একজন করে ফাস্ট বোলার আছে যে কিনা যে কোনো সময় উইকেট এনে দিতে পারে। ইংল্যান্ডে জফরা আর্চার, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, ভারতে যশপ্রীত বুমরা। এখন আমরাও দেখছি, যদি খেলা আটকে যায়, তাহলে আমরাও তাসকিন কিংবা খালেদের মতো কাউকে এনে বাউন্সারে দুই-একটি উইকেট নিতে পারব।’